বছর প্রায় শেষ। এই বছর ক্রিকেট দেখেছে একটা অসাধারণ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং সারা বছর বহু ক্রিকেটারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। সারা বছরের পারফরম্যান্স বিচার করে আমরা তৈরি করলাম বছরের সেরা ওয়ান ডে একাদশ। দেখে নিন আপনার তৈরি সেরা দলের সঙ্গে কতটা মিল আমাদের এই দলের।
রোহিত শর্মা: ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে মোট রানে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন ‘হিটম্যান’। সারা বছর ধরে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেছেন। বিশ্বকাপে পাঁচটা সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। এক বছরে ২৮টি ম্যাচে সাতটি শতরান করেছেন। মোট রান ১৪৯০। গড় ৫৭.৩০ এবং স্ট্রাইক রেট ৮৯.৯২। ২০১৯-এর সেরা একাদশে তাই রোহিতের স্থান বাঁধা।
শেই হোপ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৪ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান শেই হোপ। রোহিতের মতো হোপও ২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। মোট রান ১৩৪৫। গড় ৬১.১৩ এবং স্ট্রাইক রেট ৭৭.৯১। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’কে আমরা রাখলাম দুই নম্বরে।
বিরাট কোহালি: ২০১৭ অক্টোবর থেকে বিশ্বের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যানের জায়গা ধরে রেখেছিন তিনি। চলতি বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন। মোট রান ১৩৭৭। গড় ৫৯.৮৬ আর স্ট্রাইক রেট ৯৬.৩৬। তাই ২০১৯ সালের সেরা একাদশ বিরাটকে ছাড়া ভাবাই যায় না।
বাবর আজম: একদিনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের সহ অধিনায়ক। এই বছরে মোট ২০টা ওয়ানডে ম্যাচে বাবরের রান ১০৯২। গড় ৬০.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ৯২.৩০। আমাদের দলের চার নম্বরে থাকছেন বাবর।
শাকিব অল হাসান: ভারতীয় বুকির তাঁকে দেওয়া প্রস্তাবের কথা কর্তৃপক্ষকে না জানানোয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে। তবে সব কিছু ঠিকঠাক চললে এক বছরের মধ্যেই নির্বাসন উঠে যেতে পারে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের। তা সত্ত্বেও শাকিবকে বিশ্বের সেরা একাদশের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। চলতি বছরে মোট ১১টা ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর রান ৭৪৮ এবং উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। বিশ্বকাপে প্রায় একার হাতে টেনেছেন বাংলাদেশ দলকে।
বেন স্টোকস: ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২০১৯ সালে দেশের হয়ে মোট ২০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রান করেছেন ৭১৯। তাঁর গড় ৫৯.৯২। সঙ্গে নিয়েছেন ১২টি উইকেট। বর্ষসেরা একাদশে তাই দুর্দান্ত এই অলরাউন্ডারের জায়গা পাকা।
জস বাটলার: ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের সহ অধিনায়ক। একজন ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক। ২০১৯ সালে মোট ২০টা ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর রান ৬৬৭। গড় ৪৭.৬৪, স্ট্রাইক রেট ভয়ঙ্কর, ১৩৫.৫৬। হার্ট হিটার ব্যাটসম্যান এবং অসাধারণ ফিল্ডার বাটলার থাকছেন সাত নম্বরে।
প্যাট কামিন্স: এই মুহূর্তে আইসিসি.র টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে কামিন্স এক নম্বরে। ওয়ানডেতে পাঁচ নম্বরে রয়েছেন এই অজি পেসার। ২০১৯ সালে কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে সব চেয়ে বেশি উইকেট নেন। ১৬টি ম্যাচে ৩১টি উইকেট নেন তিনি। পারফরম্যান্সের জন্য আইপিএল নিলামে কামিন্সের দাম ওঠে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। আমাদের দলের পেস ব্যাটারির অন্যতম অস্ত্র তিনি।
রশিদ খান: আফগান তুর্কি রশিদ খান এখনও পর্যন্ত মোট ৭০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১৩৩টি উইকেট নিয়েছেন। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটের হাতটাও মন্দ নয়। আমাদের বর্ষসেরা একাদশে থাকছেন এই আফগান স্পিনার।
ট্রেন্ট বোল্ট: চলতি বছরে মোট ২০টি ম্যাচ খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। ২০টি ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৩৮টি। তাঁর গড় ২৩.৯৭। বাঁহাতি এই কিউয়ি পেসারকেও দলে রাখলাম আ মরা।
যশপ্রীত বুমরা: নতুন বছরেই দেশের জার্সিতে মাঠ কাঁপাতে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে বুমরার। আইসিসি তালিকায় সেরা এই ভারতীয় বোলার চোটের কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন বেশ কয়েক দিন। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১০৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলারকে কী বর্ষসেরা একাদশ থেকে বাদ দেওয়া যায়!