ভারতের জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের প্রধান কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ মনে করেন, এ ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। —ফাইল চিত্র।
ভারতের খেলাধুলোয় বয়স ভাঁড়ানোর সমস্যা নতুন নয়। ভারতের জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের প্রধান কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ মনে করেন, এ ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। ‘‘বয়স ভাঁড়ানোর মতো ঘটনা যাতে বন্ধ হয় তার জন্য কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে দোষী খেলোয়াড়দের নির্বাসিত করে,’’ বলেছেন গোপীচন্দ। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং জাতীয় টেবল টেনিস সংস্থা বয়স ভাঁড়ানোর জন্য খেলোয়াড়দের নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছে।
প্রাক্তন জাতীয় কোচ বিমল কুমার আবার এতটা কড়া শাস্তি দেওয়ার বিপক্ষে। তিনি বলেছেন, ‘‘২-৩ বছরের জন্য এক জন খেলোয়াড়কে নির্বাসিত করাটা ঠিক নয়। তাতে একটা প্রতিভা নষ্ট হতে পারে। অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ বা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে কোনও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর প্রমাণ পেলে নিশ্চিত করতে হবে শাস্তি হিসেবে সে যাতে কোনও বয়সভিত্তিক বিভাগে নামতে না পারে। শুধু সিনিয়র বিভাগে নামতে পারবে।’’
২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর স্পোর্টস ইন্টিগ্রিটি ইউনিট একটি রিপোর্টে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থাকে (বাই) জানিয়েছিল, চার জন জুনিয়র খেলোয়াড় বয়স ভাঁড়িয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে উঠতি খেলোয়াড়দের অভিভাবকদের ৩৭ জনের একটি দল কর্নাটক হাইকোর্টে গিয়েছিল এই দাবি নিয়ে যে বয়স ভাঁড়ানো থামাতে বাইকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি চালু করতে হবে। বাই তাদের তরফে ব্যবস্থা যে নেয়নি তা নয়। যে সব খেলোয়াড়দের জন্মের দুটি শংসাপত্র রয়েছে তাঁদের পরিচয়পত্র বাতিল করে দিয়েছিল বাই। পরীক্ষার পরে ফের তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। বাইয়ের সচিব অজয় সিংহনিয়া বলেছেন, বয়স ভাঁড়ানো এবং তার শাস্তি কী হবে সে ব্যাপারে সংস্থার আসন্ন নির্বাচক কমিটির বৈঠকে আলোচনা করা হতে পারে।