নায়ক: সেই ভাঙা চেয়ারে সই করার পরে ম্যাক্সওয়েল। টুইটার
‘ম্যাড ম্যাক্স’ আবার স্বমহিমায়। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ৩১ বলে ৭০ রান অস্ট্রেলিয়াকে সহজ জয় এনে দিল। বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যারন ফিঞ্চের (৪৪ বলে ৬৯) সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া তোলে চার উইকেটে ২০৮ রান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নিউজ়িল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৪৪ রানে।
টেস্ট ক্রিকেটে যে রকম ভেল্কি দেখাচ্ছেন এক বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর পটেল, সে রকম টি-টোয়েন্টিতে চমকে দিলেন আর এক বাঁ-হাতি স্পিনার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশটন অ্যাগার। যাঁর স্পিনের সামনে নিউজ়িল্যান্ডের ব্যাটিং ভেঙে পড়ে। চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে ছ’উইকেট নিয়ে জীবনের সেরা বল করে যান অ্যাগার। তিনিই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন। নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান ওপেনার মার্টিন গাপ্টিলের। তিনি করেন ২৮ বলে ৪৩। কেন উইলিয়ামসনের সংগ্রহ ন’ রান।
ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি বিশাল ছয়। যার মধ্যে একটা ছয় ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামের চেয়ারও ভেঙে দেয়! যদিও তার জন্য ক্ষতি নয়, লাভই হতে চলেছে। কারণ, এর পরে স্কাই স্টেডিয়ামের পক্ষ থেকে ওই ভাঙা আসনের একটি ছবি দিয়ে টুইট করে বলা হয়, এই চেয়ারটা নিলামে উঠবে। এবং, এর থেকে প্রাপ্ত অর্থ দান করা হবে ওয়েলিংটনের গৃহহীন মহিলাদের তহবিলে। সংগঠকদের পক্ষ থেকে ম্যাক্সওয়েলের কাছে আবেদন করা হয়, ওই ভাঙা চেয়ারে সই করে দেওয়ার জন্য। ম্যাক্সওয়েল তাদের হতাশ করেননি।
ম্যাচের পরে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, ‘‘জয়ের নেপথ্যে আমারও যে কিছু অবদান আছে, তা ভেবে ভাল লাগছে। আমার আর ম্যাক্সের জুটির ফলে বড় রান তুলতে সমস্যা হয়নি। আর প্রথম থেকেই যখন আস্কিং রেট দশের উপরে চলে যায়, তখন বিপক্ষকে চাপে ফেলতে সমস্যা হয় না। এ দিন সেটাই হল।’’ পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিউজ়িল্যান্ড এগিয়ে ২-১।