পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমেই ১৪৮ করেছিলেন ধোনি। ছবি: রয়টার্স।
যদি তিন নম্বরে ব্যাট করতেন আর নেতৃত্ব দিতে না হত, তা হলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটে অজস্র রেকর্ড ভেঙে যেত বলে মনে করেন গৌতম গম্ভীর।
২০০৫ সালে বিশাখাপত্তনমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে জীবনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন এমএসডি। ১২৩ বলে করেছিলেন ১৪৮ রান। যাতে ছিল ১৫টি চার ও চারটি ছয়। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রাঁচীর যুবককে। কিন্তু টপ অর্ডারে নয়, মিডল অর্ডারেই জায়গা পাকা ছিল তাঁর। ধোনি হয়ে উঠেছিলেন ফিনিশার। এখনও পর্যন্ত ৩৫০ ওয়ানডে ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে ১০৭৭৩ রান করেছেন তিনি। ১০ সেঞ্চুরি ও ৭৩ হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে এর মধ্যে। স্ট্রাইক রেট ৮৭.৫৬।
আরও পড়ুন: কী ভাবে সচিন-দ্রাবিড়দের আটকে ভারতে সিরিজ জয়? ফাঁস করলেন গিলেসপি
আরও পড়ুন: বুমরা-শামিদের পেস আক্রমণকে সর্বকালের সেরা বললেন দ্রাবিড়
গম্ভীর অবশ্য দাবি করেছেন, নেতৃত্বের বোঝা তাঁর কাঁধে না চাপলে অনেক বেশি সাফল্য পেতেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তিনি বলেছেন, “ধোনি যদি তিন নম্বরে ব্যাট করত আর নেতৃত্ব দিতে না হত, তা হলে ক্রিকেটবিশ্ব সম্ভবত একেবারে অন্য রকম এক খেলোয়াড়কে দেখতে পেত। আরও অনেক রান ও করত, অনেক রেকর্ড ভাঙত। রেকর্ড বাদই দেওয়া যায়। রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই গড়া হয়। তিন নম্বরে নামলে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষক ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারত ও। পাটা উইকেটে এখনকার শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণকে সামনে পেলে অধিকাংশ রেকর্ডই ভেঙে ফেলত ও।”
এটা ঘটনা যে, কেরিয়ারে যে ১৬ টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডারে নেমেছেন ধোনি, তাতে ৮২ গড়ে এসেছে ৯৯৩ রান। তবে অধিনায়ক হিসেবে ২০০ ওয়ানডে ম্যাচে ৬৬৪১ রান রয়েছে তাঁর। অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে একমাত্র অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংই বেশি রান করেছেন ধোনির থেকে।