— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র
আগামী ১১ জুলাই জাতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই নির্বাচন স্থগিত করে দিল গুয়াহাটি হাই কোর্ট। অসম কুস্তি সংস্থার একটি আবেদনের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির আগে নির্বাচন আয়োজন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটি হাই কোর্ট।
জাতীয় কুস্তি সংস্থা, আইওএ-র অ্যাড-হক কমিটি এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের বিরুদ্ধে গৌহাটি হাইকোর্টে একটি হলফনামা পেশ করেছিল অসম কুস্তি সংস্থা। তাদের দাবি, জাতীয় কুস্তি সংস্থার সদস্য সংস্থা হওয়ার যোগ্যতা থাকলেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর জাতীয় কুস্তি সংস্থার সাধারণ সভায় অসম সংস্থাকে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ন’বছর পেরিয়ে গেলেও তা গৃহীত হয়নি।
অসম সংস্থার দাবি, যত দিন না তারা জাতীয় কুস্তিতে সদস্য সংস্থা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হোক। সেই দাবি মেনে নিয়েছে গুয়াহাটি হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, যত দিন না পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হচ্ছে, তত দিন নির্বাচন নিয়ে কোনও কাজ করা যাবে না। আগামী ১৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
অসম সংস্থার দাবি, রাজ্যে কুস্তির প্রচারের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করছে তারা। জাতীয় এবং রাজ্য ভিত্তিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। অতীতে বার বার সদস্যপদ দেওয়ার আবেদন করা হলেও তা মানা হয়নি। অসমের দাবি, সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত না হলে নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজে মনোনীত প্রতিনিধি দিতে পারবে না তারা। ফলে রাজ্যের হয়ে দাবি তোলারও কেউ থাকবে না।
জাতীয় কুস্তি সংস্থার বিদায়ী সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ শারীরিক নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ার পর এখন কুস্তির দায়িত্বে অ্যাড-হক কমিটিই। তারাই দায়িত্বে আসার ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা জানায়। সেই মতো প্রথমে ৬ জুলাই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও পরে পাঁচ দিন পিছিয়ে ১১ জুলাই করা হয়। গুয়াহাটি হাই কোর্টের নির্দেশের পর এই তারিখও পিছোতে চলেছে। ফলে আবার নতুন করে জট ভারতীয় কুস্তিতে।