নোভাকের প্রতিবাদ। ছবি রয়টার্স
উইম্বলডনে খেলতে গেলেও ব্যক্তিগত ভাবে কোনও লাভ হবে না নোভাক জোকোভিচের। র্যাঙ্কিং পয়েন্ট পাবেন না তিনি। এটিপি আগেই জানিয়েছে, রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের নির্বাসিত করার প্রতিবাদে উইম্বলডনে কোনও র্যাঙ্কিং পয়েন্ট থাকবে না। ফলে প্রায় ২০০০ র্যাঙ্কিং পয়েন্ট হারাতে চলেছেন জোকোভিচ। যদিও ফরাসি ওপেনে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে তিনি বলে দিয়েছেন, “উইম্বলডনে অবশ্যই খেলতে যাব।” কিন্তু অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সিদ্ধান্তেরও তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। স্পষ্ট বলেছেন, “ওরা যেটা করেছে সেটা ভুল।”
সোমবার প্রথম রাউন্ডে জাপানের ইয়োশিহিতো নিশিয়োকাকে ৬-৩, ৬-১, ৬-০ গেমে হারান জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ফলে এটাই তাঁর কাছে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম। প্রথম ম্যাচে জোকোভিচকে দেখে মনে হয়েছে, যথেষ্ট ভাল ছন্দে রয়েছেন। চোট নিয়েও খেলে চলা রাফায়েল নাদালকে টক্কর দিতে তৈরি তিনি। কিন্তু ম্যাচের পর উইম্বলডনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত।
তিনি বলেছেন, “ব্যক্তিগত ভাবে এই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমার উপরে। আমি এটা ভেবে খুশি যে সবাই এটিপির সিদ্ধান্তের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। যদি কোনও ভুল কেউ করে থাকে, তা হলে তার ফলও ভুগতে হবে। এ ক্ষেত্রে উইম্বলডনও দেখুক ওদের সিদ্ধান্তের পরিণতি কী হতে পারে।” জোকোভিচ জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের নির্বাসিত না করে অন্য কোনও ভাবেও বিষয়টির সমাধান হতে পারত। কিন্তু অল ইংল্যান্ড ক্লাবের তরফে সেই চেষ্টাই করা হয়নি। তাঁর কথায়, “কিছু দিন আগে ব্রিটিশ সরকার ওদের কিছু প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওরা কারওর সঙ্গে আলোচনাই করেনি। রাশিয়া এবং বেলারুশের কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলে জিজ্ঞাসা করেনি ওরা কী পরিস্থিতিতে রয়েছে। তাই আমার মতে, এটা ওদের ভুল সিদ্ধান্ত। আমি কোনও মতেই সমর্থন করি না।”
এ দিকে, গত বারের মহিলাদের বিজয়ী বারবোরা ক্রেচিকোভা প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন। ফ্রান্সের ডায়ানা পেরি তাঁকে হারিয়েছেন ১-৬, ৬-২, ৬-৩ গেমে। প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কাও হেরে গিয়েছেন। তাঁকে ২-৬, ৬-৩, ৭-৬, ৬-৩ গেমে হারান কোরেন্টিন মৌটেট।