নেয়োমি ওসাকা সমর্থনে ক্রীড়া জগত। ফাইল চিত্র
সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ফরাসি ওপেন থেকে সরে গিয়েছিলেন নেয়োমি ওসাকা। তাঁর এমন পদক্ষেপ নিয়ে নেট মাধ্যম উত্তাল হলেও সেরিনা উইলিয়ামস, বিলি জিন কিংয়ের মতো ক্রীড়াবিদরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা শুরুতে ওসাকার সিদ্ধান্তকে সে ভাবে সমর্থন না করলেও শেষে এই জাপানি টেনিস তারকার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নাভ্রাতিলোভা প্রথমে একটি টুইট করেছিলেন। পরে সেই টুইট মুছে দিয়ে আবার একটি টুইট করেন।
মুছে দেওয়া টুইটে নাভ্রাতিলোভা লিখেছিলেন, ‘বাকি খেলোয়াড়দের কথা ভাবার জন্য তোমাকে সেলাম। নিজের ও বাকিদের সমস্যার সমাধান যাতে হয়, সেই চেষ্টাই ওসাকা করেছিল। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেটা খারাপ দিকে মোড় নেয়। আশা করি ফরাসি ওপেন থেকে সরে যাওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত ওসাকাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।’
কিন্তু এর পর যখন সেরিনা, বিলি জিন কিংয়ের মতো টেনিস খেলোয়াড় এই জাপানির সমর্থনে এগিয়ে এলে নাভ্রাতিলোভা ফের একটি টুইট করেন। সেই নতুন টুইটে তিনি লেখেন, ‘নেয়োমি ওসাকার কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে। আশা করি ও এখন ভাল আছে। ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের এই শিক্ষাই দেওয়া হয় যে কী ভাবে নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়া যায়। আবেগ মাঝেমধ্যে আমাদের শরীর ও মনকে ছাপিয়ে যায়। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। সেই শিক্ষাও কিন্তু আমাদের দেওয়া হয়। এটা শুধু একটা সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেওয়া কিংবা না নেওয়ার ব্যাপার নয়। নেয়োমিকে শুভেচ্ছা। আমরা সবাই তোমার পাশে আছি।’
নাভ্রাতিলোভার মুছে দেওয়া সেই টুইট।
এ দিকে ওসাকার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সেরিনার কাছে মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “ওসাকার জন্য খুবই খারাপ লাগছে। সব মানুষ তো সমান হয় না। আমি যে ভাবে সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ে চলি, ওসাকা তেমন ভাবে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতেই পারে। আসলে আমার গায়ের চামড়া খুবই পুরু। ওর গায়ের চামড়া পাতলা। তাই এমনটা হয়েছে।”
বিলি জিন কিং আবার এই জাপানিকে সমর্থন জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘মেয়েটার সাহস আছে। সবাই কিন্তু ওর মতো সাহস দেখাতে পারে না। সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানো মুখের কথা নয়।’
প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বে জয় পেলেও সোমবার জাপানের এই মহিলা টেনিস তারকা টুইট করে লেখেন, ‘আমি সরে গেলে এই প্রতিযোগিতা, অন্য টেনিস খেলোয়াড় এবং বাকি সকলের জন্য ভাল হবে। সকলে তা হলে খেলায় মন দিতে পারবে’।