হতাশা: ভারতীয় খেলোয়াড়কে সান্ত্বনা ফ্রান্সের তরুণের। ছবি— পিটিআই।
ভারত- ১ : ফ্রান্স- ৩
জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত পারেনি খেতাব পুনরুদ্ধার করতে। সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হারতে হয়েছিল। এ বার হাতছাড়া হল ব্রোঞ্জও। রবিবার ভুবনেশ্বরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণের ম্যাচ ১-৩ গোলে হেরে গেলেন বিবেক সাগর প্রসাদরা। চতুর্থ স্থানে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতকে।
হ্যাটট্রিক করে ফ্রান্সের জয়ে নায়ক তাঁদের অধিনায়ক তিমোতে ক্লেমঁ। তিনটি গোলই তিনি করেছেন পেনাল্টি কর্নার থেকে। ২৬, ৩৪ ও ৪৭ মিনিটে। মাঝখানে ৪২ মিনিটে ভারতের সুদীপ চিরমাকো ব্যবধান কমান। টানা দু’টি ম্যাচে ভারতের জুনিয়রদের ব্যর্থতায় কিছুটা হলেও বিস্মিত এ দেশের হকিমহল। অথচ কোয়ার্টার ফাইনালে এই দলটাই অসাধারণ খেলে বেলজিয়ামকে হারিয়ে দিয়েছিল।
ভারত অবশ্য এ বারের জুনিয়র বিশ্বকাপে এই ফ্রান্সের কাছেই ৪-৫ গোলে হেরেছিল প্রথম ম্যাচে। বলা যায়, রবিবার বিবেকরা প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন। যদিও এ দিন ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একাধিপত্য দেখিয়েছেন ফরাসিরাই। যা ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ফ্রান্স দেখাতে পারেনি। রবিবার প্রথম কোয়ার্টারে খুবই সাদামাটা খেলা হয়। ক্লেমঁ-রা চমকে দেন ম্যাচে মোট ১৪টি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে। সেখানে ভারত পায় মাত্র তিনটি। তবে খুব খারাপ শুরু করেননি সুদীপরা। প্রথম কোয়ার্টারে তাঁরা ফরাসি রক্ষণকে কিছুটা চাপেও রেখেছিলেন। যে কারণে ভারত প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার পেয়ে যায়। যদিও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ১২ মিনিটে আবার গোল করার অবস্থা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে অরিজিৎ সিংহ হুন্ডালের সার্কলের মাথা থেকে প্রচণ্ড জোরে মারা শট পোস্টে লাগে।
প্রথম কোয়ার্টারে শেষ দিকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ফ্রান্স। সামান্য কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনটি পেনাল্টি কর্নারও পেয়ে যায়। যদিও ভারতীয় রক্ষণ তাদের গোল করতে দেয়নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকে আক্রমণে আরও আগ্রাসন বাড়ায় ফ্রান্স। তিন মিনিটের মধ্যে আবার পেনাল্টি কর্নার পায়। তবে প্রথম গোল পায় ২৬ মিনিটে, পঞ্চম কর্নার থেকে। নিচু ড্র্যাগ ফ্লিকে ১-০ করেন ক্লেমঁ। তাঁর সৌজন্যেই তৃতীয় কোয়ার্টারেও নিজেদের পঞ্চম পেনাল্টি কর্নার থেকে আবার গোল পায় ফ্রান্স। ৩৪ মিনিটে।
ভারত তবু কিছুটা হলেও লড়াইয়ে ফেরে ৪২ মিনিটে সুদীপের ফিল্ড গোলের জন্যে। কিন্তু ফ্রান্সের আক্রমণে তীক্ষ্ণতা কখনওই কমেনি। তাই ৪৭ মিনিটে ক্লেমঁ নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন আবার একটা অসাধারণ ড্র্যাগ ফ্লিকে।
এ দিকে, ফাইনালে লাউতারো ডোমেনের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে আর্জেন্টিনা ৪-২ হারাল ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা।