ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার দিল্লি হাই কোর্টে ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। বিজেপি নেতা এবং জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে যৌনহেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন বিনেশ ফোগাটেরা। ব্রিজভূষণ তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজ করে দেওয়ার আবেদন করেছেন।
এই বছর মে মাসে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিচারক। দেশের কুস্তিগিরদের একাংশ যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগে বিজেপির বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।
চার্জ গঠনের নির্দেশের পর যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে ব্রিজভূষণের মুক্তি পাওয়ার পথ আরও কঠিন হয়েছিল। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মোট ছ’টি মামলা হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটিতেই চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। বাকি একটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৫৪ডি ধারায় চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে দ্বিতীয় অভিযুক্ত বিনোদ তোমারের বিরুদ্ধে ৫০৬ ধারায় চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
গত বছর ২০ জুলাই শর্তসাপেক্ষে ব্রিজভূষণের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত। ছ’বারের সাংসদকে শর্ত দেওয়া হয়, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং অভিযোগকারীদের কোনও রকম হুমকি দিতে পারবেন না।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন দেশের সেরা কুস্তিগিরদের একাংশ। আন্দোলনের প্রধান তিন মুখ ছিলেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া এবং বিনেশ। এই মামলা চললেও বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন ব্রিজভূষণ। শাসকদলের প্রভাবশালী সাংসদ হওয়ার কারণেই ব্রিজভূষণ অন্যায় করে পদে থেকে গিয়েছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।