Kapil Dev

এ বার অবসর নাও, কপিলকে ইঙ্গিত দেন নির্বাচকরা, ফাঁস করলেন গায়কোয়াড়

আমদাবাদে জাতীয় নির্বাচকরা কথা বলার পর আর মাত্র একটাই টেস্ট খেলেছিলেন কপিল। মার্চে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলার পর অক্টোবরে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ১৬:২২
Share:

টেস্টে ৪৩৪ উইকেটে থেমেছেন কপিল দেব। ছবি: এএফপি।

এর পর কী? কপিল দেবের কাছে গিয়েই প্রশ্ন করতে হয়েছিল জাতীয় নির্বাচকদের। আসলে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অবসরের ব্যাপারে ঠিক কী ভাবছেন তিনি।

Advertisement

১৯৯৪ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন কপিল দেব। বর্ণময় ক্রিকেটজীবনে অজস্র কীর্তি রয়েছে তাঁর। বিশ্বকাপজয়ী প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক তিনি। টেস্টে এক সময় সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডও ছিল তাঁর দখলে। কিন্তু কেরিয়ারের শেষের দিকে ফর্মে ছিলেন না তিনি। ফলে, জাতীয় নির্বাচকদের মধ্যে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল কপিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু তাঁর মতো ক্রিকেটারের কাছে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করা সহজ ছিল না। সেই ঘটনাই শুনিয়েছেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক অংশুমান গায়কোয়াড়।

১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমদাবাদ টেস্টে শ্রীলঙ্কার হাসান তিলকরত্নের উইকেট নিয়ে রিচার্ড হ্যাডলির ৪৩১ উইকেটের রেকর্ড টপকে গিয়েছিলেন কপিল। গড়েছিলেন নতুন বিশ্বরেকর্ড। তার পরই গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচকরা কথা বলেন কপিলের সঙ্গে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নজরে আইপিএল, সেপ্টেম্বরে ভারত সফর বাতিলের পথে ইসিবি?​

আরও পড়ুন: সেরা ক্যাপ্টেন কে? সামান্য পয়েন্টে সৌরভকে হারিয়ে দিলেন ধোনি

অংশুমান গায়কোয়াড় বলেছেন, “আমদাবাদে কপিল যখন হ্যাডলির রেকর্ড ভেঙেছিল, তখনই ও কিছুটা শ্লথ হয়ে গিয়েছিল। তার পর গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ ও আমি কথা বলি ওর সঙ্গে। আমরা বলি, ‘রেকর্ড ভাঙার জন্য অভিনন্দন। কিন্তু আমাদের বল যে এর পর কী।’ যাতে আমাদের কেউ অপ্রস্তুতে না পড়ি, সেই কারণেই জানতে চেয়েছিলাম। আর এই ধরনের কথাবার্তা করতে বাধ্য হতেও হয় নির্বাচকদের।”

আমদাবাদের পর আর মাত্র একটাই টেস্ট খেলেছিলেন কপিল। মার্চের মাঝামাঝি নিউজিল্যান্ডে গিয়ে হ্যামিল্টনে সফরের একমাত্র টেস্টের দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন একটি করে উইকেট। থেমেছিলেন ৪৩৪ উইকেটে। কয়েক মাস পরে অক্টোবরে ঘোষণা করেছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত।

নির্বাচকদের ভূমিকা নিয়ে গায়কোয়াড় আরও বলেন, “ক্রিকেটার ও নির্বাচক হিসেবে দূরদৃষ্টি থাকা খুব জরুরি। শুধু পরিসংখ্যান দেখলে চলে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও ক্রিকেটার সফল হতে পারবে কি না, সেটা বুঝতে হয়। আর সেটা একমাত্র যে এই পর্যায়ে খেলেছে, সেই বুঝতে পারে।। কেমন চাপ সামলাতে হয়, কেমন পারফরম্যান্স করতে হয়, সেই এটা বুঝতে পারে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement