ডার্বি মানেই গ্যালারিতে উন্মাদনা। প্রতীকী ছবি
শতবর্ষে পা রাখা ইস্টবেঙ্গলও খেলবে আইএসএলে। রবিবার এফএসডিএল-এর ঘোষণার পরে উল্লসিত কলকাতা ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচেরাও।
সুকুমার সমাজপতি বললেন, ‘‘আমি খুব খুশি। যখন মোহনবাগান এটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইএসএলে চলে গিয়েছিল, আর ইস্টবেঙ্গল নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য ছিল না, তখন খুব কষ্ট হত। ভাবতাম, ভারতের সেরা ক্লাব কেন দেশের সেরা লিগে খেলবে না? আজ সেই দুঃখ দূর হল।’’ ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ শ্যাম থাপা আবার বলছেন, ‘‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ছাড়া যেমন বিশ্বকাপের আর্কষণ থাকে না, তেমনই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল না থাকলে ভারতের কোনও প্রতিযোগিতা সফল হতে পারে না। নব রূপের ডার্বি আইএসএলের আকর্ষণ বাড়াবে।’’
ইস্টবেঙ্গলের আসিয়ান কাপ জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিকের কথায়, ‘‘১০০ বছরের সাফল্যের ইতিহাসপূর্ণ ক্লাবকে বাদ দিয়ে আইএসএল হতে পারে না।’’ লাল-হলুদ শিবিরের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘এটা শতবর্ষের সাফল্য। সমর্থকেদের সব হীনমন্যতা কেটে গেল।’’ প্রাক্তন গোলকিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আইএসএল এ বার অক্সিজেন পাবে।’’ সুব্রত ভট্টাচার্যও বলছেন, ‘‘আইএসএল উজ্জ্বল হল মোহনবাগানের পরে ইস্টবেঙ্গল আসায়।’’ গৌতম সরকারের মন্তব্য, ‘‘এই সুসংবাদের অপেক্ষাতেই তো ছিলাম।’’ সমরেশ চৌধুরী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ফোনে খবরটা শুনে। বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল এ বার আইএসএলে খেলবে এটা প্রথম আনন্দবাজার জানিয়েছিল। মোহনবাগান খেলবে শোনার পরে খুব রাগ ও অভিমান হত। আজ সেই যন্ত্রণা দূর হয়ে গেল।’’
সংবাদ সংস্থায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইস্টবেঙ্গলের আর এক প্রাক্তন ভাইচুং ভুটিয়া বলেছেন, ‘‘সমর্থকেরা চেয়েছিলেন ক্লাব আইএসএলে খেলুক। তাঁদের স্বপ্ন সত্যি হল আজ। এ বার দল গঠন একটা কঠিন পরীক্ষা।’’