একজোট: প্রতিবাদের এই ছবি ফের দেখা যাবে ৯ সেপ্টেম্বর। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যাডমিন্টনে সাত বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন দীপু ঘোষ। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ৮৫ বছর বয়সি অর্জুন পুরস্কারজয়ী দীপু পাকাপাকি ভাবে সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা হলেও রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মান ফেরাতে চান।
১৯৬৯ সালে অর্জন পুরস্কার পান দীপু। ভাই রমেন ঘোষের সঙ্গে জুটি বেঁধে দু'বার খেলেছেন টমাস কাপে। টানা পাঁচ বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়নও ছিলেন তাঁরা। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলের কোচও ছিলেন তিনি। নয়ের দশকে তিনি ভারত ছেড়ে চলে যান আইসল্যান্ডে। এখন তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। ২০১৫ সালে ‘বাংলার গৌরব’ হন দীপু। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলার প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে এই সম্মান ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
ক্ষোভ বাড়ছে তিন প্রধানের সমর্থকদের মধ্যেও। গত ১৮ অগস্ট কলকাতা মুখরিত হয়েছিল আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তাঁদের গর্জনে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার আরও একবার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠতে চলেছে রাজপথ। দুপুর তিনটের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটবেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডানের সমর্থকরা। যোগ দেবেন চিকিৎসকদের ডাকা রাত ন’টায় ন’মিনিটের জন্য কলকাতা স্তব্ধ করার কর্মসূচিতেও।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে গত ৯ অগস্ট চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। এর জেরেই গত ১৮ অগস্ট ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডার্বি পুলিশ বাতিল করে দেওয়ায় প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ পরিণত হয়েছিল দাবানলে। বৈরিতা ভুলে একজোটে গর্জে উঠেছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। ৯ সেপ্টেম্বর আর জি কর কাণ্ডের একমাস পূর্তিতে ‘বিচারহীন এক মাস এ ভাবে আর মানব না’ দাবি তুলে আরও একবার রাজপথে নামছেন তাঁরা।
মোহনবাগানের সমর্থক সুরঞ্জন মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘আর জি করের নারকীয় ঘটনার একমাস পূর্ণ হচ্ছে ৯ সেপ্টেম্বর। অথচ এখনও পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি। ওই দিন বিকেল তিনটের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল করে ধর্মতলা পর্যন্ত যাব। রাতে ন’টায় চিকিৎসকদের ডাকা ন’মিনিটের কলকাতা স্তব্ধ করার কর্মসূচিতেও যোগ দেব আমরা।’’ ইস্টবেঙ্গল সমর্থক সৌরিশ পাল বললেন, ‘‘আর জি কর কাণ্ডের এত দিন হয়ে গেল অথচ বিচার শুরু হল না। আমাদের অবিলম্বে বিচার চাই।’’