Cristiano Ronaldo

ফিফার বর্ষসেরা অনুষ্ঠানে ভোট দিলেন না রোনাল্ডো, কেন পর্তুগিজ ফুটবলারের এই সিদ্ধান্ত?

বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে ভোট দেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। লিয়োনেল মেসি পুরস্কার জিতবেন ধরে নিয়েই কি ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন পর্তুগালের ফুটবলার?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২৬
Share:

যে হেতু বিশ্বকাপের সময়ে এবং বাকি মরসুমে রোনাল্ডো খুব বেশি প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি, তাই অধিনায়ক হিসাবে তিনি ভোট দেননি। ফাইল ছবি

সোমবার রাতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠান। সেখানে পুরস্কার উঠল লিয়োনেল মেসির হাতে। অনুষ্ঠানের শেষে জানা গেল, বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে ভোট দেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। লিয়োনেল মেসি পুরস্কার জিতবেন ধরে নিয়েই কি ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন পর্তুগালের ফুটবলার?

Advertisement

ফিফার এই অনুষ্ঠানে প্রতিটি সদস্য দেশের জাতীয় দলের কোচ এবং অধিনায়ক ভোট দেন। ফলে পর্তুগালের অধিনায়ক হিসাবে রোনাল্ডো এবং কোচ হিসাবে রবার্তো মার্তিনেসের ভোট দেওয়ার কথা ছিল। মার্তিনেস ভোট দিলেও রোনাল্ডো দেননি। অনুষ্ঠানের পরে এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ফিফার তরফে। তারা জানিয়েছে, যে হেতু বিশ্বকাপের সময়ে এবং বাকি মরসুমে রোনাল্ডো খুব বেশি প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি, তাই অধিনায়ক হিসাবে তিনি ভোট দেননি। সেই দায়িত্ব নিয়েছেন পেপে। তিনিই ভোট দিয়েছেন।

পেপে ভোট দিয়েছেন মেসিরই ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপেকে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দ হিসাবে পেপের ভোট পেয়েছেন তাঁর দুই প্রাক্তন ক্লাব সতীর্থ লুকা মদ্রিচ এবং করিম বেঞ্জেমা। মার্তিনেসের ভোট গিয়েছে মেসির দিকেই। তিনি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দের ভোট দিয়েছেন কেভিন দ্য ব্রুইন এবং এমবাপেকে। প্রসঙ্গত, রোনাল্ডো এ বার একটিও ভোট পাননি। কারণ তিনি মনোনীত ফুটবলারদের তালিকায় ছিলেন না। চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায় ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি।

Advertisement

এই পুরস্কার চার বছর পর পেলেন মেসি। হারালেন করিম বেঞ্জেমা এবং কিলিয়ান এমবাপেকে। মেসি বলেছেন, “এখানে আবার আসতে পেরে ভাল লাগছে। বেঞ্জেমা এবং এমবাপেকেও অভিনন্দন। ওদের দু’জনের কাছেও দুর্দান্ত গিয়েছে বছরটা। এই সম্মান আমার কাছে বিশেষ। সব সতীর্থ এবং কোচ স্কালোনিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওদের জন্যে আজ আমরা এখানে।”

গত বছরের স্মৃতিচারণ করে মেসি বলেছেন, “দারুণ একটা বছর কেটেছে। অনেক লড়াইয়ের পর নিজের স্বপ্নপূরণ করেছি। আমার ফুটবল জীবনে বিশ্বকাপ জয় সবার উপরে থাকবে। অনেকেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখে। পায় খুব কম লোকই।”

মেসি এই পুরস্কার জেতার ক্ষেত্রে ৫২ পয়েন্ট পেয়েছেন। এমবাপে পেয়েছেন ৪৪ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা বেঞ্জেমার পয়েন্ট ৩৪। এর পর রয়েছেন লুকা মদ্রিচ (২৮), আর্লিং হালান্ড (২৪), সাদিয়ো মানে (১৯), জুলিয়ান আলভারেস (১৭), আশরাফ হাকিমি (১৫), নেমার (১৩), কেভিন দি ব্রুইন (১০), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (১০), রবার্ট লেয়নডস্কি (৭), জুড বেলিংহ্যাম (৩), মহম্মদ সালাহ (২)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement