বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েলসের ০-৩ হারই বেলের জীবনের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। ফাইল ছবি
আচমকাই সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ফেললেন গ্যারেথ বেল। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ফুটবলার সোমবার নিজের সমাজমাধ্যমে দু’টি বার্তা পোস্ট করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। দেশের হয়ে তো বটেই, ক্লাবের হয়েও আর তাঁকে দেখা যাবে না। ভবিষ্যতে কী করবেন, সে ব্যাপারে খোলসা করেননি এখনও। মাত্র ৩৩ বছরে ফুটবলকে বিদায় জানালেন তিনি।
৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে নেমে কাতারে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ওয়েলস। হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরেও বেল জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলজীবন আরও দীর্ঘায়িত করতে চান। ২০২৪-এর ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলেন। সেই কথা বলার এক মাসের মধ্যে ফুটবল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার আমার জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক ফুটবলে আমার যাত্রা জীবনটাকেই বদলে ফেলেনি, আমি মানুষ হিসাবেও অনেকটা বদলেছি।”
১৬ বছর বয়সে সাউদাম্পটনের হয়ে খেলতে নেমে পেশাদার ফুটবলে প্রবেশ বেলের। তার পরে ছ’বছর কাটান টটেনহ্যামে। সেখান থেকে ২০১৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ অর্থে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। ২০১৮-র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লিভারপুলের বিরুদ্ধে দু’টি দুর্ধর্ষ গোল করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ম্লান করে দিয়েছিলেন। রিয়ালেই ক্লাবজীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন। পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং একাধিক ঘরোয়া খেতাব জিতেছেন। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। শেষ দিকে চোটের নাটক করেছেন। ইঙ্গিতে বুঝিয়েও দেন, স্পেনের ক্লাব তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত বছর রিয়াল ছেড়ে তিনি যোগ দেন লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি-তে। সেখান থেকেই অবসর নিলেন।
বেল আরও লিখেছেন, “যে খেলাটাকে ভালবাসি, সেই খেলায় নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি আপ্লুত। জীবনে সেরা মুহূর্তগুলো ফুটবল থেকেই পেয়েছি। ১৭টা মরসুম জুড়ে যে ভালবাসা পেয়েছি তা করে দেখানো সহজ নয়। জানি না জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে কী অপেক্ষা করে রয়েছে।” বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েলসের ০-৩ হারই বেলের জীবনের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল।