মেসি বনাম রোনাল্ডো ম্যাচের তারিখ জানা গেল। ফাইল ছবি
চূড়ান্ত হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বনাম লিয়োনেল মেসি দ্বৈরথের তারিখ। আল নাসেরের জার্সিতে নয়, সৌদি আরবে রোনাল্ডোর অভিষেক হতে চলেছে প্রদর্শনী ম্যাচে। আল হিলাল এবং আল নাসের দল মিলিয়ে একটি প্রথম একাদশ তৈরি করা হবে, যারা খেলবে প্যারিস সঁ জরমঁর বিপক্ষে। সেই ম্যাচে খেলার কথা লিয়োনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে এবং নেমারের। তিন তারকাই খেলবেন কিনা, তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় চার তারকাকে দেখার আনন্দে এখন থেকেই ফুটছে সৌদি আরব।
দু’ম্যাচ নির্বাসিত থাকায় আল নাসেরের হয়ে এখনও অভিষেক হয়নি রোনাল্ডোর। প্রথম ম্যাচ আল নাসেরের জার্সিতে খেলতে নামবেন না। প্রদর্শনী ম্যাচের জন্য আলাদা একটি জার্সি তৈরি করা হবে। সেই ম্যাচটি হতে চলেছে ১৯ জানুয়ারি। এই খবর জানিয়েছেন আল নাসেরের কোচ রুডি গার্সিয়া।
কবে রোনাল্ডোর অভিষেক হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল গার্সিয়াকে। তিনি উত্তর দেন, “ওর অভিষেক আল নাসের জার্সিতে হবে না। আল হিলাল এবং আল নাসের মিলিয়ে একটি মিশ্র দল তৈরি করা হবে। আল নাসেরের কোচ হিসাবে এই ম্যাচের জন্য আমি অত্যন্ত খুশি। নিজেদের উন্নত করতে আমরা সব সময় পিএসজি-র মতো ক্লাবকে দেখি। ওদের থেকে শিখি। তিন দিন পরে লিগের একটা ম্যাচ রয়েছে আমাদের। সূচি অনুযায়ী, এর থেকে ভাল সময়ে ম্যাচটা হতে পারত না। আমরা প্রথম স্থানে রয়েছি। সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। এই লিগ জেতা খুবই কঠিন। কিন্তু রোনাল্ডোকে পেয়ে আমরা সেই কাজটাই করে দেখাতে চাই।”
গত সপ্তাহে আল তাইয়ের বিরুদ্ধে জেতে আল নাসের। রোনাল্ডো সেই ম্যাচে না খেললেও ভিআইপি দর্শকাসনে হাজির ছিলেন। গোলের সময় উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। আগামী শনিবার আল শাবাবের বিরুদ্ধেও পাওয়া যাবে না রোনাল্ডো। প্রদর্শনী ম্যাচে খেলার পর আল নাসেরের হয়ে খেলতে সমস্যা নেই রোনাল্ডোর।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে গুডিসনে পার্কে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে এভার্টনের কাছে হারের পর সাজঘরে ফেরার সময় খুদে ভক্তের মোবাইল আছড়ে ভেঙে দেন রোনাল্ডো। প্রিয় নায়ককে হাতের কাছে দেখতে পেয়ে ছবি তোলার জন্য মোবাইল বাড়িয়েছিল ১৪ বছরের জেকব হার্ডিং। ম্যাচ হেরে যাওয়ায় মাথা গরম ছিল রোনাল্ডোর। রাগে ফোনটা টেনে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। জেকবের মা সারাহ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রোনাল্ডোর উপর। এই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন রোনাল্ডো। মারসেসাইড পুলিশ তাঁকে ডেকে সতর্কও করে দিয়েছিল। আলাদা করে তদন্তে নামে এফএ। সেই তদন্তেই তাঁর ওপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। দুই ম্যাচ বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।
ফিফার ১২.১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও ফুটবলারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় এবং সেই ফুটবলারকে দুই, তিন বা চার ম্যাচে নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয় তা হলে সেটা তাঁকে মানতেই হবে। যদি তার মধ্যে কোনও ফুটবলার এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যান তা হলেও তাঁর শাস্তি কার্যকর থাকবে। রোনাল্ডোকে নির্বাসনের শাস্তি দেওয়ার পরে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচ খেলে ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে এবং বিশ্বকাপের পরে প্রথম ম্যাচ খেলে বার্নলের বিরুদ্ধে। ম্যান ইউয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই দু’টি ম্যাচেই দলে ছিলেন না রোনাল্ডো। ফলে ওই নিষেধাজ্ঞা তাঁর নতুন ক্লাবের প্রথম দু’টি ম্যাচেই কার্যকর হবে। সেই কারণেই আল নাসেরের হয়ে প্রথম দু’ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন না রোনাল্ডো।