লড়াকু: জোড়া গোল রিয়ালের ভিনিসিয়াসের। ছবি: রয়টার্স।
মঙ্গলবার আলিয়াঞ্জ এরিনায় তাঁর জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২-২ ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্রাজিলীয় তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন হ্যারি কেনদের। জানিয়ে দিলেন, ফিরতি সাক্ষাতে বের্নাবাউয়ের ফুটবলপ্রেমীরা সাক্ষী থাকবেন এক জাদু-রাতের।
মঙ্গলবার খেলার শুরু থেকেই দাপট দেখায় জার্মানির ক্লাব। দু’ মিনিটের মাথায় লেরয় সানেকে ওয়ান টাচে চমৎকার পাস বাড়ান হ্যারি কেন। সানে সোজা গোলরক্ষকের হাতে মারেন। প্রথম ২০ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন হ্যারি কেন-রা। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে তার চার মিনিট পরে গোল তুলে নেয় রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের জন্য বক্সের মধ্যে দারুণ একটা থ্রু পাস বাড়ান টোনি ক্রুস। ভিনিসিয়াস সেই বল ধরে মানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করে ১-০ করেন। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে অবশেষে গোল আসে লেরয় সানের পায়ে। কনরাড লেমারের পাস ধরে বক্সের ডান দিক থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ১-১ করেন জার্মান তারকা। চার মিনিট পরে ২-১ করে ফেলে বায়ার্ন। জামাল মুসিয়ালাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ঠান্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। এর পরে বায়ার্ন আরও চেপে ধরে রিয়ালকে। ৮২ মিনিটে রদ্রিগোকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ডিফেন্ডার কিম মিন জে। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান ভিনিসিয়াস। সুযোগ তৈরি হলেও এর পরে আর গোল আসেনি।
ম্যাচের পরে ভিনিসিয়াস বলেছেন, ‘‘বায়ার্নকে ঘরের মাঠে আটকে দেওয়া আমাদের কাছে বড় কৃতিত্ব। পরের সাক্ষাতে আমরা অনেক খোলা মনে ফুটবলটা খেলতে পারব।’’ যোগ করেন, ‘‘ঘরের মাঠে রিয়াল বরাবর ভয়ঙ্কর। তার উপরে সমর্থকদের পাশে পাব। এটুকু বলতে পারি, রিয়ালের ভক্তেরা একটা জাদু-রাতের সাক্ষী অবশ্যই থাকবেন।’’
যদিও রিয়াল ম্যানেজার কার্লো আনচেলোত্তি মনে করেন, তাঁর দল জিতেই মাঠ ছাড়তে পারত। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ফলে হতাশ নই, তবে আমাদের দল যে ফুটবল খেলেছে, তাতে জয় পাওয়া উচিত ছিল।’’ তিনি মেনে নিয়েছেন, ছন্দে ছিলেন না জুড বেলিংহাম। তার ফলে রিয়ালের আক্রমণে তেমন তেজ ছিল না।
টটেনহাম থেকে বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পরে প্রথম মরসুমেই নজিরের সামনে ইংল্যান্ড তারকা হ্যারি কেন। চলতি মরসুমে তিনি আটটি গোল করেছেন, তিনটিতে অ্যাসিস্ট করেছেন, যা কোনও ইংরেজ ফুটবলারের পক্ষে সবচেয়ে বেশি। বুন্দেশলিগা খেতাব গিয়েছে বায়ার লেভারকুসেনে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য মরিয়া কেন। তিনি বলেছেন, “চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাবের জন্য চলতি বছর আমরা সর্বস্ব উজাড় করে দিচ্ছি। রিয়ালের ঘরের মাঠে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।”