—প্রতীকী ছবি।
ধুন্ধুমার কাণ্ড কনকাকাফ নেশনস লিগে আমেরিকা বনাম মেক্সিকো ম্যাচে। যে ম্যাচে আমেরিকা জেতে ৩-০ গোলে। জোড়া গোল করেছেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ (৩৭ ও ৪৬ মিনিটে)। অন্য গোল রিকার্ডো পেপের (৭৮ মিনিটে)।
কিন্তু ফলাফল নয়, লাস ভেগাসের অ্যালে জায়ান্ট স্টেডিয়ামে মাঠে ও বাইরে যা হয়েছে, তা নিয়েই ফুটবল-মহলে চলছে যাবতীয় চর্চা।
২৩ বছরের মধ্যে প্রথম মেক্সিকোকে তিন গোলে হারিয়ে কনকাকাফ নেশনস লিগে কানাডার মুখোমুখি হয়েছেন পুলিসিচরা। অবশ্য ম্যাচে কার্যত সারা ক্ষণ দু’দলের ফুটবলাররা হাতাহাতি করেছেন। ফলশ্রুতি, রেফারির চার জনকে লাল কার্ড দেখান। হলুদ কার্ড বার করতে হয়েছে ১৬ রাব। মাথা গরম করার খেসারত দিয়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে আমেরিকার ওয়েস্টন ম্যাকেনি, সের্জিনো ডেস্ট ও মেক্সিকোর সিজ়ার মন্টেস ও জেরার্ডো আর্তিয়েগাকে।
এই চার জনই লাল কার্ড দেখেছেন দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯ থেকে ৮৫ মিনিটের মধ্যে। যার অর্থ অল্প সময়ের জন্য হলেও এই দ্বৈরথ হয়েছে দুই দলের ন’জন করে ফুটবলারের মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্র দলের অস্থায়ী প্রশিক্ষক বি জে কালাহান অবশ্য এই মাঠের উত্তেজনাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলছেন, ‘‘এই স্তরের ম্যাচে এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘কার্ড দেখাটা শাস্তিপ্রাপ্ত ফুটবলারদের আগামী দিনে আরও সতর্ক করবে। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার থাকতে পারে না।’’
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ঘিরে আরও খারাপ একটা ব্যাপার ঘটেছে। মেক্সিকোর দর্শকদের একটা বড় অংশ সমকামীদের প্রতি ঘৃণার বার্তা দিয়ে গান গাইতে থাকেন। যে কারণে ঠিক ৯০ মিনিটের মাথায় খেলা বন্ধ রাখেন রেফারি। সংযুক্ত সময়ে খেলা শুরু করা থেকে বিরত ছিলেন রেফারি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শুরু হলেও আবার সমকামীদের বিদ্ধ করা গান গাওয়া শুরু হলে রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন খেলার আট মিনিটের মাথাতেই।
ইদানীং মেক্সিকোর খেলা থাকলেই এক দল মানুষ সমকামীদের আক্রমণ করছেন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে। যে কারণে গত জানুয়ারিতে মেক্সিকোকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক জরিমানা করেছিল ফিফা। এই বিষয়টি যে মেক্সিকোর একদল দর্শকের ‘কীর্তি’ তা পরিষ্কার করে দিয়ে আমেরিকার সহকারী কোচ মন্তব্য করেছেন, ‘‘এই কুৎসিত গান হাওয়া সম্পর্কে একটা কথাই বলতে পারি, এটা মোটেই আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। আমাদের মূল্যবোধে এমন অসভ্যতার জায়গা নেই।’’