চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আটকে গেলেন হালান্ডরা। ছবি: রয়টার্স
কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সেমিফাইনালে ওঠার পিছনে অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। একাই দুর্গ হয়ে উঠেছিলেন রক্ষণে। ক্রোয়েশিয়ার সেই জোসকো গাভার্দিয়ল ক্লাবস্তরেও যে নিজের কাজে সমান পারদর্শী, তা আরও এক বার প্রমাণ করে দিলেন। তাঁর গোল এবং রক্ষণে দুরন্ত পারফরম্যান্সের জেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আটকে গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। বুধবার রাতে আরবি লাইপজিগের বিরুদ্ধে তারা ড্র করল ১-১ গোলে। অন্য ম্যাচে, ইন্টার মিলান ১-০ গোলে হারিয়েছে পোর্তোকে।
ড্র হলেও সিটি খারাপ খেলেছে এমনটা বলা যাবে না। প্রথমার্ধে তাদের পারফরম্যান্স বেশ আকর্ষণীয়। বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিল না সিটি। সেই আক্ষেপ মেটে ২৭ মিনিটে। রিয়াধ মাহরেজের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। বিপক্ষের ফুটবলারের থেকে বল পান জ্যাক গ্রিলিশ। তিনি গোলমুখী পাস বাড়ান। সেই বল পেয়ে সিটির অধিনায়ক ইলখাই গুন্ডোয়ান বল দেন মাহরেজকে। আলজেরিয়ার ফুটবলারের গোল করতে সমস্যা হয়নি। এর পর বেশ কিছু সুযোগ পেলেও তারা কাজে লাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরত আসে লাইপজিগ। মাঝমাঠ এমন ভাবে শাসন করতে থাকে যে, সিটির গোল খাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। ক্রিস্টোফার এনকুনকু নামার পরে লাইপজিগের আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ে। উল্টো দিকে আর্লিং হালান্ডকে নিষ্প্রভ করে রেখেছিলেন গাভার্দিয়ল। তিনিই মার্সেল হালস্টেনহার্গের কর্নার থেকে অনেকটা লাফিয়ে হেডে সমতা ফেরান। পরের দিকে সিটির বদলে জয়ের মরিয়া ভাবে লক্ষ্য করা যায় লাইপজিগের খেলায়। আগামী ১৪ মার্চ সিটির মাঠে ফিরতি পর্বের খেলা।
এ দিকে, পোর্তোর বিরুদ্ধে ইন্টারের একমাত্র গোল রোমেলু লুকাকুর। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে গোল করেন তিনি। গোটা মরসুম চোট-আঘাতে ভুগলেও সঠিক সময়ে লুকাকু নিজের দক্ষতা আবার বোঝালেন। শেষ আটের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল ইন্টার।