পাঁচ গোল! হাতের ইশারায় সেটাই কি বোঝাতে চাইছেন হালান্ড? ছবি: রয়টার্স
একটি-দু’টি নয়। একাই একেবারে পাঁচ-পাঁচটি গোল। মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মাতিয়ে দিলেন আর্লিং হালান্ড। ক্লাবের হয়ে পাঁচটি গোল করলেন তিনি। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে ঘরের মাঠে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিল আরবি লাইপজিগকে। টানা ছ’টি মরসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সিটি। নজির গড়লেন হালান্ড।
এক মরসুমে ৩৯টি গোল হয়ে গেল হালান্ডের। ক্লাবের হয়ে এটি নতুন রেকর্ড। ২২ বছরের হালান্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাত্র ২৫টি ম্যাচ খেলে ৩৩টি গোল করেছেন। এখনও পর্যন্ত এক বারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেনি সিটি। কিন্তু হালান্ডের যা ছন্দ, তাতে এ বারের ট্রফি উঠতেই পারে পেপ গুয়ার্দিওলার দলের হাতে।
এর আগে জার্মানিতে গিয়ে ১-১ ড্র করে এসেছিল সিটি। কিন্তু চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত লাইপজিগ মঙ্গলবার দাঁড়াতেই পারেনি সিটির কাছে। ইপিএলের ম্যাচে কেভিন দ্য ব্রুইনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন গুয়ার্দিওলা। এই ম্যাচে তিনি ফিরেছিলেন। সিটিও হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। ম্যাচের তিন মিনিটেই দ্য ব্রুইনের ক্রস থেকে সিটিকে এগিয়ে দিতে পারতেন ইলখাই গুন্ডোয়ান।
ম্যাচে দুটি বিতর্কিত মুহূর্ত দেখা গিয়েছে। প্রথমে লাইপজিগের বেঞ্জামিন হেনরিখের হাতে বল লাগে, যা সিটির ফুটবলার বা দর্শক কেউই খেয়াল করেননি। ভার-এর দেওয়া সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেন লাইপজিগের খেলোয়াড়রা। পেনাল্টি থেকে দলের প্রথম গোল হালান্ডের। দু’মিনিট পরেই আবার গোল করেন। এর পরে সিটি গোলকিপার এদেরসন বক্সের বাইরে এসে বিপক্ষের কনরাড লাইমারকে ট্যাকল করলেও তাঁকে কার্ড দেখানো হয়নি। প্রথমার্ধেই নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন হালান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সিটিকে এগিয়ে দেন গুন্ডোয়ান। ৫৩ এবং ৫৭ মিনিটে পর পর দুটি গোল হালান্ডের। ৬-০ এগিয়ে যায় সিটি। অনবদ্য খেলার ফল পান দ্য ব্রুইনও। অতিরিক্ত সময়ে গোল করেন তিনি।
অন্য ম্যাচে, পোর্তোর বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে ইন্টার মিলান। প্রথম পর্বে ১-০ জেতার সুবাদে পরের পর্বে গিয়েছে তারা।