বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। সতীর্থরা তাঁকে ডাকেন ‘দিবু’ নামে। —ফাইল চিত্র
তাঁর নাম এমিলিয়ানো মার্তিনেস। কিন্তু সতীর্থরা তাঁকে সেই নামে ডাকেন না। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক মার্তিনেসকে ‘দিবু’ নামেই ডাকেন লিয়োনেল মেসিরা। শুধু সতীর্থরা নন, আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও তাঁকে এই নামেই ডাকেন। কিন্তু মার্তিনেসের ডাক নাম তো ‘দিবু’ নয়। তা হলে কেন সবাই তাঁকে এই নামে ডাকেন? এত দিনে সামনে এসেছে সেই অজানা কাহিনি।
মার্তিনেসের নাম ‘দিবু’ হয়েছে একটি কমিক চরিত্রের নামে। তাঁর যখন ৬ বছর বয়স তখন আর্জেন্টিনায় একটি কমিক সিরিয়াল শুরু হয়। নাম ‘মি ফ্যামিলা এস উন দিবুজো’, যার ইংরেজি অনুবাদ ‘মাই ফ্যামিলি ইজ় ড্রয়িং।’ সেই সিরিয়ালের প্রধান চরিত্রের নাম ছিল ‘দিবু’। সেই চরিত্র থেকেই মার্তিনেসের এই নাম।
এ কথা নিজেই জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। তিনি বলেছেন, ‘‘আপনারা যদি দিবুর ছবি দেখেন তা হলে দেখবেন ওর চুল লম্বা। গালে কয়েকটা ব্রণর দাগ রয়েছে। ১২ বছর বয়সে যখন ইন্ডিপেনডিয়েন্টের হয়ে খেলতাম তখন ঠিক ওরকম চেহারা ছিল আমার। তখন থেকেই সবাই আমাকে দিবু বলে ডাকত। সেই নামটাই থেকে গিয়েছে।’’
১৯৯৬ সালে শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার সেই বিখ্যাত কমিক চরিত্র নিয়ে সিরিয়াল। ১৯৯৮ সালে তার নাম বদলে শুধু ‘দিবু’ রাখা হয়। পরে সেই চরিত্র নিয়ে তিনটি ছবিও হয়েছে। ১৯৯৭ সালে ‘দিবু, দ্য মুভি’, ১৯৯৮ সালে ‘দিবু ২: ন্যাস্টি রিভেঞ্জ’ ও ২০০২ সালে ‘দিবু ৩: দ্য গ্রেট অ্যাডভেঞ্চার’। সেই নামকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছেন মার্তিনেস।
বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতলেও গোটা প্রতিযোগিতায় বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন মার্তিনেস। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারানোর পরে তাদের কোচ লুইস ফান হালের সঙ্গে বিবাদে জড়ান তিনি। সেরা গোলরক্ষকের ট্রফি নিয়ে অশালীন ভঙ্গি থেকে শুরু করে এমবাপের পুতুল নিয়ে উল্লাস— সব রয়েছে সেই তালিকায়। ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকও হয়েছেন মার্তিনেস।