সফল: এমবাপেকে অভিনন্দন অপর গোলদাতা মেসির। ছবি রয়টার্স।
লিয়োনেল মেসি, নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের গ্রুপের ম্যাচে বুধবার গোল করলেন এই তিন জনই। ম্যাককাবি হাইফাকে ৩-১ হারাল প্যারিস সঁ জরমঁ।
যদিও ট্র্যাজন চেরির ২৪ মিনিটে করা গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইজ়রাইলের ক্লাবই। তবে প্রথমার্ধেই সে গোল শোধ করে দেন মেসি। এমবাপের ক্রস ধরে আট গজ দূর থেকে মারা ঠিকানা লেখা শটে। খেলা শেষ হওয়ার ২১ মিনিট আগে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। আড়াআড়ি ভাবে মারা অসাধারণ একটা শটে। ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের তৃতীয় গোল আসে বিপক্ষের অফসাইডের ফাঁদকে বোকা বানিয়ে ব্রাজিলীয় তারকা নেমারের সৌজন্যে।
মেসি এই ম্যাচে নজির গড়লেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ৩৯টি ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো অবশ্য খুব কাছই রয়েছেন। তিনি করেছেন ৩৮টি গোল। পাশাপাশি আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তিই একমাত্র ফুটবলার যিনি ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় টানা ১৮ মরসুমে গোল করলেন!
এ দিকে, জুড বেলিংহ্যামের ৫৬ মিনিটে করা গোলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে পিছিয়ে পড়া ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন সে-ই আর্লিং হালান্ড! নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রথম বার খেলতে নেমে ৮৪ মিনিটে অবিশ্বাস্য ভলিতে জয়ের গোল করে। তার চার মিনিট আগেই অবশ্য ম্যাচে সমতা ফেরান জন স্টোনস।
বরুসিয়া এমনকি বারবার প্রতিআক্রমণে উঠেও ইপিএল চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যেই বাঁ দিক থেকে উড়ে আসা মার্কো রয়েসের ক্রসে ইংরেজ ফুটবলার বলিংহ্যামের দুরন্ত হেডে ১-০ করে দেন। পিছিয়ে পড়ে অবশ্য গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন পেপের সৈনিকরা। অবশেষে ম্যাচে সমতা ফেরান স্টোনস খেলা শেষ হওয়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে।
দেখতে দেখতে নিজের পুরনো ক্লাবকে হতাশ করে জয়ের গোলও করে ফেলেন নরওয়ের বিস্ময়-তরুণ হালান্ড। জোয়াও ক্যানসেলোর আশ্চর্য সুন্দর এক ক্রসে আক্ষরিক অ্যাক্রোবাটদের মতো শূন্যে উড়ে ভলিতে অবিশ্বাস্য গোল করে। নতুন ক্লাবে হালান্ডের যা ১৩ নম্বর গোল। মাত্র ন’ম্যাচ খেলে।