ফুটবলার না থাকায় একটি ক্লাবই বন্ধ করে দিতে হল। — ফাইল চিত্র
দলের ফুটবলাররা সবাই ইউরোপে পাড়ি দিয়েছেন। কেউ বৈধ ভাবে, কেউ অবৈধ ভাবে। বাধ্য হয়ে ফুটবল ক্লাবই বন্ধ করে দিতে হল। এই ঘটনা ঘটেছে তিউনিশিয়ায়। সেখানকার চতুর্থ ডিভিশনের ক্লাব ঘারদিমাউয়ের সভাপতি জামিল মেফতাহি সংবাদ সংস্থাকে এই খবর জানিয়েছেন।
মেফতাহি জানিয়েছেন, গত তিন বছরে ক্লাবের ৩২ জন ফুটবলারের কেউ সমুদ্রে পাড়ি দিয়ে, কেউ সার্বিয়ায় গিয়ে সেখান থেকে ইউরোপের অন্য দেশে ঢুকে পড়েছেন। ১৭ থেকে ২২ বছরের এ রকম বহু ফুটবলার ক্লাব ছেড়েছেন। সম্প্রতি তিউনিশিয়ায় প্রবল আর্থিক সঙ্কট চলছে। তা থেকে বাঁচতেই ফুটবলাররা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করেন মেফতাহি।
গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত তিউনিশিয়ার লোকেরা সার্বিয়ায় ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারত। ফলে ভূমধ্যসাগরে নৌকা চেপে প্রাণ হাতে নিয়ে অনেকে ইউরোপের দেশগুলিতে চলে যেতেন। সেই ব্যবস্থা এখন বন্ধ। কিন্তু ইউরোপে চলে যাওয়া এখনও আটকানো যায়নি। ঘারমাদিউয়ের মতো তিউনিশিয়ার অনুন্নত এলাকার মানুষজন সবচেয়ে বেশি বিপদে। মেফতাহি নিজেই স্বীকার করেছেন, খেলোয়াড়দের তাঁরা ভাল করে টাকা এবং খাবার দিতে পারেন না। খেলার বুট, জার্সি কিনে দিতে পারেন না। বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়ে তাঁরা পালাচ্ছেন।