মোহনবাগান দল। ছবি: এক্স।
বুধবার ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে হেরে গিয়েছে মোহনবাগান। আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক হল সবুজ-মেরুনের। মুম্বই সিটি, এফসি গোয়ার পর কেরল। মরসুমের শুরুতে টানা চার ম্যাচ জেতা দল কী ভাবে হোঁচট খাচ্ছে বার বার? এএফসি কাপ থেকে বিদায় নেওয়ায় মোহনবাগানের সামনে পড়ে শুধু আইএসএলই। কেন হারের হ্যাটট্রিক হল সবুজ-মেরুনের। ৩ কারণ খুঁজে বের করল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) ফুটবলারদের চোট: মরসুমের শুরুতেই চোটের জন্য প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান আশিক কুরুনিয়ন। দীর্ঘ দিনের চোটে মাঠের বাইরে আনোয়ার আলিও। এ ছাড়া মোহনবাগানে নিত্যনতুন চোট লেগেই রয়েছে। কখনও সাহাল আব্দুল সামাদ, কখনও লিস্টন কোলাসো, কখনও হুগো বুমোস। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁদের না পাওয়ায় প্রভাব পড়ছে ম্যাচের ফলাফলে।
২) কোচের ভুল রণকৌশল: জুয়ান ফেরান্দোর কাছে কোনও ‘প্ল্যান বি’ নেই। অর্থাৎ একটি কৌশল কাজে না লাগলে পরক্ষণেই যে অন্য রকম ভাবে দলকে খেলাবেন, সেটা করতে পারছেন না। গোয়ার বিরুদ্ধে ভাঙাচোরা রক্ষণ ভাগ থাকা সত্ত্বেও তিন ডিফেন্ডারে খেলিয়ে চার গোল খেয়েছিলেন। কেরলের বিরুদ্ধে চার রক্ষণে ফিরলেন। গোল খাওয়ার সংখ্যা কমলেও হার এড়ানো গেল না। মাঝমাঠে মোহনবাগানকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। কেরলের সঙ্গে তাল মেলাতে পারলেন না ফুটবলারেরা।
৩) দলগত ঐক্যে ফাটলের ইঙ্গিত: গোয়া ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময় একটি ট্যাকলকে কেন্দ্র করে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন জেসন কামিংস এবং আর্মান্দো সাদিকু। ম্যাচেও দেখা গেল কেউ কাউকে পাস দিচ্ছেন না। নিজেই গোল করার চেষ্টা করছেন। মরসুমের মাঝপথে এ ভাবে খেলোয়াড়দের মধ্যে কোন্দল দেখা গেলে কোনও কোচের পক্ষেই কাজ সহজ নয়। ফেরান্দো যদিও এ সব পাত্তা দিতে রাজি নন। দলের কেউই এ সবের উত্তরও দিচ্ছেন না। কিন্তু মোহনবাগানে যে সব ঠিক নেই, এটা দেখলে বেশ বোঝা যাচ্ছে।