অনুশীলন কেন্দ্র বদলের পাশাপাশি দু’-তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ভাবনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ফেডারেশনে। ইগর চাইছেন প্রস্তুতি শিবিরের শেষ পর্বে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে। যাতে ফুটবলারদের পাশাপাশি, নানা রকমের রণকৌশল নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলতে পারেন তিনি।
ফাইল চিত্র।
এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের জন্য ২৪ এপ্রিল থেকে কলকাতায় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই শিবির হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। কলকাতার পরিবর্তে পুণে অথবা দোহায় অনুশীলন করতে পারেন সুনীল ছেত্রীরা।
‘ডি’ গ্রুপে ভারতের সঙ্গেই রয়েছে আফগানিস্তান, হংকং ও কম্বোডিয়া। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ৮ জুন সুনীলদের প্রথম ম্যাচ কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে। ১১ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ১৪ জুন শেষ ম্যাচ হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলবেন সুনীলরা। সব খেলাই যে হেতু যুবভারতীতে হবে, তাই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কলকাতায় প্রস্তুতি শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সূত্রের খবর, জাতীয় কোচ ইগর স্তিমাচ চাইছেন, নীরবে প্রস্তুতি পর্ব সারতে। যাতে ফুটবলারদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত না ঘটে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফিফা ফ্রেন্ডলিতে বাহরিন ও বেলারুশের কাছে পরপর হারের পরেই তিনি আরও বেশি করে নির্বিঘ্নে অনুশীলন করাতে চাইছেন। যাতে এই দুই ম্যাচে হওয়া ভুল-ত্রুটি শুধরে নিতে পারেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কলকাতায় সেই সম্ভবনা কম। এই কারণেই ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে অন্য কোথাও প্রস্তুতি শিবির সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে দু’টি কেন্দ্র ফেডারেশনের ভাবনায় রয়েছে। পুণে ও দোহা। বাহরিন ও বেলারুশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফিফা ফ্রেন্ডলির জন্য পুণের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামেই আনোয়ার আলিদের অনুশীলন করিয়েছিলেন ইগর। সেখানকার আধুনিক পরিকাঠামোয় খুশি তিনি। পুণের পরে জাতীয় কোচের দ্বিতীয় পছন্দ দোহা।
অনুশীলন কেন্দ্র বদলের পাশাপাশি দু’-তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ভাবনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ফেডারেশনে। ইগর চাইছেন প্রস্তুতি শিবিরের শেষ পর্বে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে। যাতে ফুটবলারদের পাশাপাশি, নানা রকমের রণকৌশল নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলতে পারেন তিনি।