প্রতীকী ছবি।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে গিয়েও লাভ হল না রাশিয়ার। ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের শাস্তি হিসাবে ফিফা এবং উয়েফার দেওয়া নির্বাসন বহাল রাখল আদালত। এর ফলে রাশিয়ার ক্লাবগুলি ইউরোপের ক্লাব পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কাতার বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা রাশিয়াকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসিত করে। ফলে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের সব ম্যাচও খেলতে পারেনি রাশিয়া। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের ফুটবল নিয়ামক সংস্থাও। ফিফা এবং উয়েফার সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাশিয়ার ফুটবল সংস্থা। আদালত ফিফা এবং উয়েফার নির্বাসনের সিদ্ধান্তই বহাল রাখায় আরও অনিশ্চিত হল রাশিয়ার ফুটবল ভবিষ্যৎ।
অনিশ্চয়তা শুধু জাতীয় দলের ক্ষেত্রে নয়। নির্বাসনের ফলে সমস্যায় পড়েছে রাশিয়ার ক্লাবগুলিও। ২০২২-২৩ মরসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও খেলতে পারছে না তারা। রাশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন এবং চারটি ক্লাবের আর্জি খারিজ করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখে মনে হচ্ছে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান দুর্ভাগ্যজনক এবং অনৈতিক। এই ঘটনার জন্য রাশিয়ার ফুটবল দল, ক্লাব এবং খেলোয়াড়দের কোনও দায় নেই। ফিফা এবং উয়েফার সিদ্ধান্ত তাদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু বিশ্বের বাকি অংশে নির্বিঘ্নে এবং সুষ্ঠু ভাবে ফুটবল পরিচালনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’ যে পরিস্থিতিতে ফিফা এবং উয়েফা নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে রুশ ফেডারেশনের আবেদন খারিজ হওয়ায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা থাকল না রাশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ক্লাব জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গের। খেলা হবে না আর এক ক্লাব সোচিরও। রাশিয়ার ক্লাবগুলিকে খেলার অনুমতি দিলে আপত্তি জানাতে পারে ইউরোপের একাধিক দেশ। প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে পারে ইউক্রেনের ক্লাবগুলি। তেমন হলে গোটা প্রতিযোগিতাই প্রশ্নের মুখে পড়বে।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত ফুটবলের নির্বাসন বহাল রাখলেও অন্য খেলাগুলির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানায়নি। বিশ্ব নিয়ামক সংস্থার নির্বাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিভিন্ন খেলার নিয়ামক সংস্থাগুলিই ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।