স্পেনের অধিনায়ক ওলগা কারমোনা। ছবি: সংগৃহীত।
দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর ঠিক পরেই পেলেন দুঃসংবাদ। বাবাকে হারালেন স্পেনের অধিনায়ক ওলগা কারমোনা। রবিবার তাঁর গোলেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে মহিলাদের বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। এই গোলের ঠিক পরেই প্রয়াত হন কারমোনার বাবা।
জয়ের পরেই বাবার মৃত্যুসংবাদ পান কারমোনা। ভেঙে পড়েন। সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘জানতামই না আজ জীবনে কী ঘটতে চলেছে। সেটা না জেনেই ফাইনালে খেলতে নেমেছিলাম। জানি, আজ যে কীর্তি গড়লাম, তার পিছনে তুমিই শক্তি। জানি, উপর থেকে তুমি আমাকে এখন দেখছ। আমার জন্য গর্ব অনুভব করছ।’’
স্পেন বিশ্বকাপ জেতার ঠিক পরেই স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রথম জানানো হয় এই খবর। তারা এক বিবৃতিতে বলে, ‘‘স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ওলগা কারমোনার বাবার প্রয়াত হওয়ার খবর জানাচ্ছে। বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষ হওয়ার পরেই ওলগাকে এই দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে।’’
ম্যাচে ২৯ মিনিটের মাথায় গোল করেন ওলগা। বাঁ প্রান্তে বল পান স্পেনের অধিনায়ক। তিনি বক্সের মধ্যে ঢুকে বাঁ পায়ে মাটি ঘেঁষা শট মারেন। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক ম্যারি আর্পস হাত লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। একটিই গোল হয় গোটা ম্যাচে।
গোল করার পরেই সাইডলাইনের দিকে ছুটে যান ওলগা। ছোটার সময় নিজের জার্সি তুলে ধরেন তিনি। নীচে আর একটি জার্সিতে স্পেনের ভাষায় লেখা ছিল ‘মের্চি’। বার বার আঙুল দিয়ে সেই বার্তার দিকেই দেখাচ্ছিলেন ওলগা।
‘মের্চি’র অর্থ ‘বাই’। এই বার্তার মাধ্যমে ওলগা কী বোঝাতে চেয়েছেন তা নিয়ে নানা রকমের কথা সামনে আসছে। কেউ বলছেন, কাতালান ভাষায় এই কথার মানে ‘ধন্যবাদ’। দলের পাশে থাকার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছেন তিনি। কেউ আবার বলছেন, নিজের ছোটবেলার স্কুল কলেজিয়ো মার্সেডেসকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছেন ওলগা। আবার কারও মতে, বন্ধুর মায়ের উদ্দেশে বার্তা দিতে চেয়েছেন স্পেনের অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে ওলগা বলেন, ‘‘আমরা জানতাম যে ইংল্যান্ড খুব কঠিন একটা দল। তাই ওদের হারাতে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হত। সেটাই করেছি। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ভাল খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতব সেটা ভাবতে পারিনি। আমি বাক্রুদ্ধ। কী বলব বুঝতে পারছি না।’’