এ ভাবেই স্পেনের একের পর এক মহিলা ফুটবলারকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছিলেন লুইস রুবিয়ালেস। —ফাইল চিত্র
মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপে চুম্বনকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পরে ইস্তফা দিলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। স্পেন বিশ্বকাপ জেতার পরে দলের সব ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের প্রকাশ্যে চুমু খান রুবিয়ালেস। ফুটবলার জেমি হারমোসো অভিযোগ করেন, জোর করে তাঁর ঠোঁটে চুমু খেয়েছেন রুবিয়ালেস। প্রতিবাদ করেন তিনি। এই ঘটনার পরে রুবিয়ালেসের সমালোচনা শুরু হয়। তাঁকে নিলম্বিত করেছে ফিফা। এ বার ইস্তফা দিলেন রুবিয়ালেস।
রুবিয়ালেসকে নিলম্বিত করার পরে স্পেনের ফুটবল চালাচ্ছেন পেদ্রো রোকা। তাঁর কাছেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রুবিয়ালেস। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, এ ভাবে কাজ করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। সেই কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
চুম্বনকাণ্ডে আইনি পদক্ষেপ করেছেন হারমোসো। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর সম্মতি ছাড়াই চুম্বন করেছিলেন রুবিয়ালস। যদিও স্পেনের ফুটবলার সংস্থার প্রধান অন্য কথা বলেছিলেন। রুবিয়ালাস বলেছিলেন, “হারমোসো পেনাল্টি ফস্কেছিল। তাই আমি ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম ভুলে যাও পেনাল্টির কথা। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাকে আমি চুম্বন করতে পারি কি না। ও রাজি ছিল। হঠাৎ করেই হয়েছিল পুরো ঘটনাটা। তবে সম্মতি নিয়েই হয়েছিল। এর পরেও আমাকে ফাঁসানো হবে? আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
স্পেনের মহিলা দলের মিডফিল্ডার হারমোসো বলেছিলেন, “রুবিয়ালস যে কথোপকথনের কথা বলেছেন, সেটা হয়নি। আর চুম্বনে আমার কোনও সম্মতি ছিল না। রুবিয়ালস ঘটনার দিক থেকে সকলকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আমি এই ঘটনার জন্য অভিযোগ জানাতে চাই। কর্মক্ষেত্র হোক বা খেলার জায়গা, কোথাও এমন জিনিস হওয়া উচিত নয় বলেই মনে করি। যা ঘটেছে, তাতে আমি নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছি না। এমন কাজ কখনওই ওই মঞ্চে করা উচিত হয়নি বলে আমি মনে করি। আর আমার সম্মতি ছাড়া এমন কাজ যৌন হেনস্থার সামিল। সোজা কথায়, আমার সম্মানহানি করা হয়েছে।”
এই ঘটনার জন্য চাকরি গিয়েছে স্পেনের ফুটবল কোচেরও। স্পেনের মহিলা ফুটবল দলকে বিশ্বসেরা করেও চাকরি বাঁচাতে পারেননি জর্জ ভিলদা। রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ডের মধ্যেই বিশ্বকাপ ফাইনালের দু’সপ্তাহের মাথায় চাকরি খুইয়েছেন তিনি। মহিলা ফুটবলারদের দাবি মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।