লেমিন ইয়ামাল। ছবি: রয়টার্স।
স্পেনের হয়ে ইতিহাস গড়েছেন লেমিন ইয়ামাল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইউরো কাপে খেলছেন তিনি। ইউরোয় খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। খেলা শেষ হওয়ার আগে তুলে নিতে হয়েছে তাঁকে। নেপথ্যে জার্মানির শিশুশ্রম আইন।
গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৮৬ মিনিট, ইটালির বিরুদ্ধে ৭১ মিনিট ও আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে ১৯ মিনিটের মাথায় ইয়ামালকে তুলে নিয়েছেন স্পেনের কোচ লুইস ডে লা ফুয়েন্তে। জার্মানির আইন অনুযায়ী ইয়ামাল নাবালক। তাই তাঁকে তুলে না নিলে জরিমানা দিতে হত স্পেনকে।
জার্মানির শিশুশ্রম আইন অনুযায়ী, নাবালকদের স্থানীয় সময় রাত ৮টার পরে কাজ করানো বেআইনি। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে সময়সীমা রাত ১১টা পর্যন্ত। ইউরোয় জার্মানিতে শেষ খেলা শুরু হচ্ছে স্থানীয় সময় রাত ৯টায়। ভারতীয় সময় রাতে সাড়ে ১২টায় শুরু হচ্ছে সেই সব ম্যাচ। রাত ৯টায় যে সব খেলা শুরু হচ্ছে, তা শেষ হতে হতে ১১টা পেরিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে ইয়ামালকে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন ডে লা ফুয়েন্তে। না তুললে শিশুশ্রম আইনে এক ম্যাচের জন্য ২৭ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হত স্পেনের ফুটবল সংস্থাকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে স্পেনের ম্যাচ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়। তাই সেই ম্যাচে ইয়ামালকে খেলাতে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জর্জিয়ার বিরুদ্ধে রাত ৯টায় খেলা শুরু হলেও ইয়ামাল পুরো ম্যাচ খেলেছেন। নক আউট হওয়ায় তাঁকে তোলেননি কোচ।
ডে লা ফুয়েন্তে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে ম্যাচে তাঁর ইয়ামালকে পুরো ম্যাচ খেলানোর প্রয়োজন হবে, তিনি খেলাবেন। আইনের কথা ভাববেন না। এ বারের ইউরোয় এখনও পর্যন্ত ইয়ামাল গোল করতে না পারলেও দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন। ভাল খেলছেন তিনি। তাই তাঁকে খেলাতে গিয়ে যদি জরিমানা দিতে হয় তাতেও রাজি স্পেন।
সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রাত ৯টায় খেলতে নামবে স্পেন। ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচও একই সময়ে। সেই দুই ম্যাচেও ইয়ামালকে পুরো সময় খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ। অর্থাৎ, গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জার্মানির শিশুশ্রম আইন ইয়ামালকে আটকে দিলেও নক আউটে কোনও আইনের তোয়াক্কা করছে না স্পেন। ইউরো জেতার স্বপ্ন দেখছে তারা।