গোলের পর উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। (বাঁ দিক থেকে) বাথালা সুনীল, তন্ময় দাস, সুমন দে, হীরা মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ চলল ইস্টবেঙ্গল মাঠেও। রবিবার যুবভারতীর বাইরেই যে প্রতিবাদ শেষ হয়ে যায়নি তা দেখিয়ে দিলেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। মঙ্গলবার কলকাতা লিগের ম্যাচে রেনবোকে ২-০ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। গোলের পরে বিচার চেয়ে প্রতিবাদ করলেন ফুটবলারেরা। একই স্লোগান উঠল গ্যালারিতেও।
বৃষ্টির কারণে মাঠে দর্শকের সংখ্যা কম ছিল। প্রায় ১০০০-১২০০ সমর্থক গিয়েছিলেন। প্রথমের দিকে তেমন পোস্টার, ব্যানার দেখা না গেলেও খেলা শুরুর সময় দেখা গেল গোলপোস্টের পিছনে একটি বড় ব্যানার। তাতে লেখা, ‘তোমার স্বর, আমার স্বর, পাশে আছি আরজি কর।’ খেলা শুরুর আগে রেনবোর ফুটবলারেরাও একটি জার্সি নিয়ে দাঁড়ান। সেই জার্সিতে আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবি লেখা ছিল।
বিচারের দাবি তুললেন রেনবোর ফুটবলারেরাও। ছবি: এক্স।
খেলা যত গড়াল, প্রতিবাদ তত বাড়ল। প্রথমার্ধে গোল হয়নি। বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের বেশ কিছু জায়গায় জল জমেছিল। ফলে শরীরের নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে সমস্যায় পড়ছিলেন ফুটবলারেরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বৃষ্টি না হওয়ায় খেলার গতি বাড়ল। ৭৫ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন পরিবর্ত হিসাবে নামা সঞ্জীব ঘোষ।
গোলপোস্টের পিছনে আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবিতে ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত।
গোল করার পরেই সাইডলাইন থেকে একটি লাল জার্সি নিয়ে গিয়ে গ্যালারির সামনে দাঁড়ান তন্ময় দাস, হীরা মণ্ডল, বাথালা সুনীল, সুমন দেরা। সেই জার্সিতে লেখা ছিল, ‘আমরা আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচার চাই।’ ফুটবলারদের দেখে গ্যালারিও স্লোগান দিতে শুরু করে। ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন আশিক। ২-০ গোলে জেতে ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচ শেষেও গ্যালারিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন সমর্থকেরা। ফুটবলারদের প্রতিবাদের বিষয়টি তিনি জানতেন না বলে জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ। খেলা শেষে তিনি বলেন, “ফুটবলারেরা যে এ ভাবে প্রতিবাদ করবে সেটা আমি জানতাম না। আমার সঙ্গে ওদের কথা হয়নি। তবে সারা দেশই তো বিচার চাইছে। আমিও চাই।”