মারামারি শুরুর সময় সামলানোর চেষ্টা করেন রেফারি। ছবি: টুইটার।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোয় নির্বাসিত করেছে ফিফা। কাতার বিশ্বকাপেও খেলতে পারছে না রাশিয়া। তাও ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে অশান্তি ফুটবল মাঠে। রাশিয়ান কাপের ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে ছ’জনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
জ়েনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং স্পার্টাক মস্কোর ম্যাচের চেহারা শুরু থেকেই ছিল চড়া মেজাজের। দু’দলের ফুটবলাররাই শুরু থেকে ফাউল করতে থাকেন। প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের বিশ্রি ভাবে মারছিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বার বার হলুদ কার্ড বের করতে হয় রেফারিকে। তাতেও দু’দলের ফুটবলারদের বাগে আনতে পারেননি। একের পর এক ফাউল ঘিরে বচসা, মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের ফুটবলার, কোচিং স্টাফরা। প্রায় কুস্তি শুরু হয়ে যায়। এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষি চলতে থাকে।
জ়েনিতের উইলমার বরিসের সঙ্গে প্রথম মারামারি শুরু হয় স্পার্টাকের দুই ফুটবলার কুইন্সি প্রোমেস এবং শামার নিকোলসনের। রেফারি প্রথমে তাঁদের ছাড়াতে গেলেও লাভ হয়নি। একে একে দু’দলের প্রায় সব ফুটবলারই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি রেফারির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দু’দলের তিন জন করে মোট ছয় জন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান তিনি। না খেলা দুই ফুটবলারও লাল কার্ড দেখেছেন মাঠে ঢুকে মারামারি করার অপরাধে। তিন মিনিট বন্ধ থাকার পর খেলা বাতিল করে দেন রেফারি।
মারামারিতে দু’দলের মোট ৬৫ জন জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনার তেমন রেশ অবশ্য সমর্থকদের মধ্যে পড়েনি। রাশিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা দু’দলের খেলোয়াড়দের আচরণের নিন্দা করেছেন। অনেকেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, রাশিয়ার ফুটবলের কালো দিন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনও। রেফারির রিপোর্ট এবং তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
চলতি মরসুমে গত মার্চ মাসে দু’দলের প্রথম সাক্ষাতে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় গোল শূন্য অবস্থায়। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে জ়েনিত। প্রতিপক্ষের দু’টি শট আটকে দিয়ে নায়কের সম্মান পেয়েছিলেন জ়েনিতের গোলরক্ষক।