স্যর ববি চার্লটন। — ফাইল চিত্র।
গত ২১ অক্টোবর প্রয়াত হন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার স্যর ববি চার্লটন। ৮৬ বছরের প্রাক্তন ফুটবলারের মৃত্যুর কারণ জানা গেল ১১ দিন পর। তাঁর ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইডেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্য উইলোস কেয়ার হোমে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন চার্লটন। আঘাত সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চার্লটনের। দীর্ঘ দিন ধরে ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন তিনি। দ্য উইলোস কেয়ার হোমে রেখে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। গত ১৬ অক্টোবর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। ঘরের জানালার সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। পিঠের কিছুটা অংশ ফুলে গিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছে। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছিল চার্লটনের। সে সময় জানানো হয়েছিল, অস্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন মিডফিল্ডারের। কী সেই অস্বাভাবিক কারণ, তা জানা গেল ১১ দিন পর। প্রাথমিক ভাবে প্রয়াত ফুটবলারের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।
মাঝ মাঠে খেললেও ইংল্যান্ডের হয়ে ১০৬টি ম্যাচে ৪৯টি গোল করেছিলেন চার্লটন। খেলোয়াড়জীবনের বেশির ভাগ সময় ম্যান ইউয়ে খেলেছেন। ক্লাবের হয়ে ৭৫৮টি ম্যাচে ২৪৯টি গোল করেছিলেন। পাস এবং দূরপাল্লার শটের কারণে বিখ্যাত ছিলেন। তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা ১৯৫৮ সালে মিউনিখের বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা। ম্যান ইউয়ের প্রথম দলের আট জন ফুটবলার এবং অনেক সাপোর্ট স্টাফ মারা গিয়েছিলেন সেই ঘটনায়। অক্ষত ছিলেন স্যর ববি।
তাঁর স্ত্রী লেডি নর্মা ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রথম বার ডিমেনশিয়ার বিরুদ্ধে স্যর ববির লড়াই প্রকাশ্যে আনেন। ১৯৬৬-র বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ডের সেই দলের আরও চার ফুটবলারের মৃত্যু হয়েছে ডিমেনশিয়ায়। তাঁর দুই ভাইয়েরও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।