বড় ম্যাচে ব্যর্থ অরিন্দম। ছবি: টুইটার থেকে
এক বছর আগে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের নয়নের মণি ছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। এ বার তাদের ছেড়ে পাড়ি দেন চিরপ্রতিপক্ষ লাল-হলুদে। এসসি ইস্টবেঙ্গল তাঁকে অধিনায়কও করে। কিন্তু ডার্বির দিন ২৩ মিনিটেই ইতি ঘটে গেল অরিন্দমের।
২৩ মিনিট মাঠে থেকে ৩ গোল খেলেন অরিন্দম। রয় কৃষ্ণর গোলের সময় কিছুই করার ছিল না তাঁর। দুরন্ত শটে অরিন্দম কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। কিন্তু মনবীর সিংহের গোলের সময় প্রথম পোস্টে অরিন্দম দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকেই গোল খেল ইস্টবেঙ্গল। শরীর ছুঁড়েও নাগাল পেলেন না মনবীরের শটের।
তৃতীয় গোলের দায় নিতেই হবে অরিন্দমকে। হুগো বুমোসের লম্বা থ্রু যখন লিস্টন কোলাসো ধরলেন, তাঁকে আটকাতে গোল ছেড়ে উঠে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বলের নাগালই পেলেন না। অরক্ষিত গোলে বল ঠেললেন কোলাসো। অরিন্দমই সহজ করে দিলেন কোলাসোর কাজ। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের চিন্তা।
কোলাসোর পা থেকে বল কাড়তে গিয়ে চোট পান অরিন্দম। বড় ম্যাচে ২৩ মিনিটের মাথায় প্রধান প্রহরীকে হারাল লাল-হলুদ। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন শুভম সেন। ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ভাল যে তাঁকে কোনও গোল হজম করতে হয়নি।
গত বার মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল-এ ২৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন অরিন্দম। ১০টি ম্যাচে গোল হজম করতে হয়নি তাঁকে। গোটা প্রতিযোগিতায় মাত্র ১৯টি গোল হজম করেছিলেন। বাঁচিয়েছিলেন ৫৯টি গোল। সেই পারফরম্যান্সের পর অরিন্দমকে তুলে নেয় লাল-হলুদ। কিন্তু ডার্বিতে অরিন্দমের হাত রক্ষাকর্তা হতে পারল না।