ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
গত ফুটবল বিশ্বকাপ হয়েছিল কাতারে। সেখানে আবগারি আইন শিথিল করা হয়েছিল। প্রতিযোগিতা শুরুর দু’দিন আগে কাতারের রাজ পরিবার জানিয়েছিল কিছু কিছু জায়গায় মদ পাওয়া যাবে। বিদেশি পর্যটকেরা সেখান থেকে মদ কিনতে পারবে। কিন্তু সৌদি আরব তেমনটা করতে রাজি নয়। ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে তারা।
১৯৫২ সাল থেকে সৌদি আরবে মদ নিষিদ্ধ। বিদেশিরাও সেখানে মদ কিনতে বা খেতে পারেন না। নিয়ম অমান্য করলে জরিমানা হয়, জেলও হতে পারে। আগে বেত মারা হত। এখন তা হয় না। তার বদলে জেলে ঢোকানো হয়। যে কারণে আরবে ফুটবল বিশ্বকাপ হবে শুনে আশঙ্কা তৈরি হয় আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলির সমর্থকদের। এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, “সৌদি আরব আবগারি আইন শিথিল করবে না। ফিফাও তাদের কোনও রকম আবেদন করবে না বলেই জানা গিয়েছে। ম্যাচের মাঝে বিয়ার বিক্রি করা হবে না বলেই জানা গিয়েছে।”
সৌদিতে কোনও বড় হোটেলেও মদ বিক্রি করা হয় না। এই বছর জানুয়ারিতে একটি মদের দোকান খুলেছে। সেখানে অমুসলিম মানুষেরা মদ কিনতে পারেন। তবে নির্দিষ্ট মাপের বেশি মদ কেনা যায় না সেখানে। ওই দোকানের কাছাকাছি থাকা মানুষেরা বলেন, “দেশ যে এই ধরনের কাজ করতে অনুমতি দিচ্ছে, সেটা খুবই ভয়ের।”
সৌদি আরবে ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ১০ বছর পর। তখন নিয়ম বদলাবে কি না তা বলা মুশকিল। কাতারে যেমন বিশ্বকাপ শুরুর দু’দিন আগে আবগারি আইন শিথিল করা হয়েছিল।