সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র।
সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে বুধবার ভারতের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। আন্তর্মহাদেশীয় কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সুনীল ছেত্রীরা আত্মবিশ্বাসী। অন্য দিকে পাকিস্তানও একটি চার দেশীয় প্রতিযোগিতায় খেলে প্রস্তুত হয়ে এসেছে ভারতে।
আন্তর্মহাদেশীয় কাপ জয়ের তিন দিনের মাথায় আবার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। সাফ ফুটবলের গ্রুপ ‘এ’-তে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান ছাড়াও রয়েছে নেপাল এবং কুয়েত। ২০২১ সালে শেষ সাফ ফুটবলেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুনীলরা। আট বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে এ বার তাই খেতাব ধরে রাখার লড়াই। যদিও এ বার অতিথি দেশ হিসাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে কুয়েত এবং লেবানন। এই দু’দল যথেষ্ট শক্তিশালী। আন্তর্মহাদেশীয় কাপ জিতলেও ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে খুশি হননি কোচ ইগর স্তিমাচ। তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানকেও।
মরিশাসে চার দেশীয় প্রতিযোগিতায় তিনটি ম্যাচই হেরেছে পাকিস্তান। ফিফা ক্রমতালিকায় তাদের স্থান ১৯৫ নম্বরে। তবু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময় আলাদা। তার উপর প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ। ভারতীয় দলের উপর কি চাপ রয়েছে? স্তিমাচ বলেছেন, ‘‘ক্রমতালিকা নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। পাকিস্তান ০-১ ব্যবধানে হেরেছে কেনিয়ার কাছে। অথচ যেখানেই খেলা হোক, দলগত ভাবে পাকিস্তান বেশি শক্তিশালী। পাকিস্তান অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছে। অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করেছে। ওদের ছ’সাত জন ফুটবলার বিদেশি অ্যাকাডেমির ফসল। তাই জিততে না পারলেও ওদের হালকা ভাবে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’ পাকিস্তান দেরিতে বেঙ্গালুরুতে এলেও সমস্যা হবে না বলে মনে করেন স্তিমাচ। তাঁর যুক্তি, ‘‘প্রথম ম্যাচের আগে ওরা এখানে অনুশীলন করার সুযোগ না পেলেও খেলার মধ্যে রয়েছে। শেষ ১০ দিনে তিনটে ম্যাচ খেলছে। শাহজাদ আনোয়ারের ছেলেরা তাই তৈরিই রয়েছে।’’
সাফ ফুটবলে কুয়েত এবং লেবাননের মতো দল থাকায় প্রতিযোগিতা কঠিন হবে বলে মনে করছেন তিনি। পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে সোমবার স্তিমাচ বলেছেন, ‘‘একাধিক ভাল দল রয়েছে। কঠিন প্রতিযোগিতা হবে। পাকিস্তান, নেপাল, কুয়েতকে নিয়ে আমাদের গ্রুপটা দারুণ। আশা করছি দর্শকরা খেলা দেখে আনন্দ পাবেন।’’ আন্তর্মহাদেশীয় কাপের ফাইনালে লেবাননকে ২-০ গোলে হারিয়ে ছিলেন সুনীলরা। সাফ ফুটবলে ভারতীয় দলের সম্ভাবনা কতটা? স্তিমাচ বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের পরিবেশ খুব ভাল। আন্তর্মহাদেশীয় কাপ জেতার পর ছেলেরা দারুণ মেজাজে রয়েছে। ওই প্রতিযোগিতার প্রতিটি ম্যাচ এবং খেলার প্রতিটি মুহূর্ত আমরা উপভোগ করেছি। কঠিন হচ্ছে পরের পর ম্যাচে একই রকম ফল করা। লেবাননের বিরুদ্ধে ছেলেদের দারুণ পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখেই বলছি, প্রতি দিন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। তাই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
ভুবনেশ্বরে গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় খেলতে হয়েছে ভারতকে। বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রাও অনেকটা কম। আবহওয়ার এই পরিবর্তন কি সমস্যায় ফেলতে পারে ভারতকে? সুনীলদের ক্রোয়েশিয়ান কোচ বলেছেন, ‘‘এখানে সব কিছুই নতুন। প্রতিযোগিতা নতুন। ভাবনা নতুন। প্রতিপক্ষ নতুন। আবহাওয়া নতুন। তবে এখানকার আবহাওয়া ফুটবল খেলার জন্য চমৎকার। প্রতিটি ম্যাচ নিয়ে আমাদের আলাদা ভাবনা রয়েছে। প্রতিপক্ষ দলগুলির শক্তি এবং দুর্বলতা আমরা জানি। সে সব মাথায় রাখছি আমরা।’’