কিলিয়ান এমবাপে। ছবি: টুইটার।
বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার এ বার পেতে পারেন। আশাবাদী ফ্রান্সের তরুণ স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। ক্লাব এবং দেশের হয়ে ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য নিজেকে বালঁ দ্যরের দাবিদার মনে করছেন এমবাপে।
বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারের দৌড়ে রয়েছেন লিয়োনেল মেসি এবং আর্লিং হালান্ড। এমবাপে অবশ্য মনে করেন এ বার বালঁ দ্যর জেতার যোগ্য প্রার্থী তিনি। দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপে। প্যারিস সঁ জরমেঁর লিগ ওয়ান জয়ের পিছনেও রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব ফুটবলে সফল মরসুম শেষ করার পর বালঁ দ্যর জেতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ফরাসি স্ট্রাইকার। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এ বার কি আপনি বালঁ দ্যর জিততে পারবেন? এমবাপে বলেছেন, ‘‘বালঁ দ্যর? ব্যক্তিগত ট্রফি জয় নিয়ে কথা বলা খুব কঠিন। তা হলে নিজেকে এগিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু তা হলে আবার সাধারণ মানুষ হয়তো ভাল ভাবে নেবে না। আমি কি বালঁ দ্যর জিততে পারব? নতুন যোগ্যতামান কী? পয়েন্ট হিসাব হবে কী করে? দৃষ্টিনন্দন খেলা, গোল করা না প্রভাব তৈরি করতে পারা? মনে হয় আমি এগুলের সবেতেই মানানসই। আমি তো বলব, জিততেই পারি। যদিও সবটাই নির্ভর করবে ভোটের উপর। আমি সব সময় আশাবাদী।’’
ফ্রান্সকে টানা দু’বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি এমবাপে। কাতারের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেও দেশকে জেতাতে পারেননি। তা নিয়ে ২৪ বছরের স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘‘এই মরসুমে জাতীয় দলের হয়ে আর কী করতে পারতাম? হ্যাঁ, বিশ্বকাপ জিততে পারতাম। বিশ্বকাপ একটা বিশেষ ব্যাপার। সকলের কাছেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালে আমার তিনটি গোলের থেকেও দামি ছিল জয়। অনেকে বলেছিলেন, আমাদের ইতিহাস তৈরির সুযোগ ছিল। আমরাও ইতিহাস লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ট্রফি স্পর্শ করতে না পারা এবং ট্রফির পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল।’’
অন্য দিকে, আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করেছেন মেসি। প্যারিস সঁ জরমেঁর হয়েও ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করেছেন। ক্লাবের লিগ ওয়ান জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে সারা বছর দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন হালান্ড। ক্লাবকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে এ বার ব্যালন ডি অঁর জেতার তিন প্রধান দাবিদার এমপাবে, মেসি এবং হালান্ড। লড়াই কঠিন হলেও আশাবাদী ফ্রান্সের তরুণ তারকা।