আইএসএলের লড়াই ভুলে নতুন লক্ষ্যে পাশাপাশি প্রীতম এবং সন্দেশ। ফাইল ছবি।
মাত্র চার দিন আগেও তাঁরা ছিলেন প্রতিপক্ষ। একে অপরকে হারিয়ে ট্রফি জয় করতে মরিয়া ছিলেন দু’জনই। অথচ চার দিনের ব্যবধানে তাঁরা পাশাপাশি। পরস্পরের সতীর্থ।
আইএসএল ফাইনালে সন্দেশ জিঙ্ঘান এবং প্রীতম কোটাল ছিলেন প্রতিপক্ষ শিবিরে। সন্দেশের দায়িত্ব ছিল বেঙ্গালুরুর রক্ষণ সামলানো আর প্রীতমের কাঁধে ছিল এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণ সামলানোর গুরু দায়িত্ব। অর্থাৎ, পেত্রোতাসদের আক্রমণ নির্বিষ করার চেষ্টা করেছেন সন্দেশ। আবার সুনীল ছাত্রীদের আক্রমণ ভোঁতা করেছেন প্রীতম। গত শনিবার আইএসএল ফাইনালে নিজের নিজের দলের রক্ষণ সফল ভাবে সামলেছেন দেশের অন্যতম সেরা দুই ডিফেন্ডার।
চার দিনের ব্যবধানে তাঁরাই সহযোদ্ধা। কাঁধে ভারতের রক্ষণ সামলানোর দায়িত্ব। ভারতীয় দলের রক্ষণের অন্যতম ভরসা সন্দেশ এবং প্রীতম। মায়ানমারের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন পাশাপাশি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। কোচ ইগর স্টিমাচও ভরসা করেন দলের দুই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে। ক্লাবের রেষারেষি ভুলে দু’জনেই এখন সতীর্থ।
মণিপুরে ভারতীয় দলের অনুশীলনে সেই ছবিই ধরা পড়েছে। কয়েক দিন আগের যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ অনুশীলন করছেন পাশাপাশি। ভিন্ন লক্ষ্য থেকে সরে এসে এখন লক্ষ্য এক। আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স হওয়া এখন অতীত। সামনে ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতা।
জাতীয় দলের অনুশীলনে পাশাপাশি প্রতীম এবং সন্দেশ। ছবি: এআইএফএফ
ইম্ফলের মাঠে ২২ মার্চ প্রতিপক্ষ মায়ানমার। ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতার তৃতীয় দল কিরঘিজ প্রজাতন্ত্র। ২৮ মার্চ কিরঘিজদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন সন্দেশ, প্রীতমরা। এই প্রতিযোগিতায় ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে চান তাঁরা। সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে ভারতীয় দল।