ফাইনালের আগে হাবাস এবং ক্রাতকি। ছবি: আইএসএল
ডুরান্ড কাপ জিতে শুরু হয়েছিল মরসুম। চার বছর আইএসএলে খেলার পর লিগ-শিল্ডও এসেছে ঘরে। এ বার আইএসএলের ফাইনালের ট্রফি হাতে তুলে ত্রিমুকুট জিতে স্বপ্নের মতো মরসুম শেষ করতে মরিয়া মোহনবাগান। সেই পথে একটাই কাঁটা মুম্বই সিটি এফসি।
যে দলকে ঠিক ১৮ দিন হারিয়ে লিগ-শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান, সেই দলই আবার সামনে। অতীতে ২০২০ সালে এই দলের কাছে ফাইনালে হেরেছিল মোহনবাগান। সেই হারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া তারা। অন্য দিকে, মুম্বইও চায় লিগ-শিল্ড জিতে জবাব দিতে।
২৩ বছর পর ডুরান্ড কাপ জিতেছে মোহনবাগান। লিগ পর্বের শুরুটা হয়েছিল ভাল ভাবেই। তবে জুয়ান ফেরান্দোর অধীনে এক সময় হারের হ্যাটট্রিক হয় তাদের। শীর্ষস্থান থেকে নেমে যায় পঞ্চম স্থানে। দেরি করেনি দল পরিচালন সমিতি। সঙ্গে সঙ্গে তারা ফেরান্দোকে সরিয়ে আন্তোনিয়ো হাবাসকে কোচ করে আনে।
ম্যাজিকের মতো কাজ হয়। আত্মবিশ্বাস হারানো, ভেঙে পড়া একটা দলকে চাঙ্গা করে দেন হাবাস। মোহনবাগান শুধু উপরেই উঠে আসেনি, প্রথম বার লিগ-শিল্ড জিতে নিয়েছে।
পরিসংখ্যানবিদ হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, ২৩ বছর পর ত্রিমুকুট জেতার সামনে দাঁড়িয়ে মোহনবাগান। ২০০১ সালে তারা একই মরসুমে জাতীয় লিগ, ফেডারেশন কাপ, কলকাতা লিগ, সিকিম গোল্ড কাপ এবং বরদোলই ট্রফি জিতেছিল। তখন দলের কোচ ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য।
এক সময় এই মুম্বই মোহনবাগানের গাঁট হলেও এ বার তাদের বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুনের পরিসংখ্যান ভাল। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই চমকে দিতে চায় মোহনবাগান।
ফাইনালের আগে মোহনবাগানের কোচ কী বললেন
ফাইনালের আগে মুম্বইয়ের কোচ কী বললেন
ফাইনালের আগে দু’দলের অধিনায়ক কী বললেন
শুভাশিস বসু (মোহনবাগান): প্রত্যেকটা ট্রফির জন্য সেরাটা দেওয়াই আমার কাজ। দল প্রচুর পরিশ্রম করেছে গত কয়েকটা মাসে। প্রত্যেকে ভালটা দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ। এই ট্রফিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনটে ট্রফি জিততে পারলে দলের এবং সমর্থকদের স্বপ্ন পূরণ হবে।
রাহুল ভেকে (মুম্বই): ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার কথা এখনও ভুলে যাইনি। এখন মুম্বইয়ে খেলি। আমার কাছে এই ম্যাচ আলাদা অনুপ্রেরণার। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় হিসাবে জানি, যুবভারতীতে নামার একটা আলাদা মজা রয়েছে। আমি তৈরি।
ক’টা থেকে ম্যাচ?
যুবভারতী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭.৩০ থেকে।
কোথায় দেখা যাবে?
স্পোর্টস ১৮, কালার্স বাংলা সিনেমা এবং জিয়ো সিনেমা অ্যাপে।