যুবভারতীতে আইএসএলের ট্রফি। ছবি: এক্স।
গত ৩০ এপ্রিল দুপুর ১.১২ মিনিটে আইএসএলের তরফে পোস্ট করা হয়েছিল, ফাইনালের টিকিট ছাড়া হয়েছে। সে দিনই রাত ৯.৩০ মিনিটে জানানো হয়, সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তার পরেও চিন্তা তৈরি হয়েছে আদৌ শনিবার যুবভারতী ভরবে কি না তা নিয়ে।
মোহনবাগানের কোচ, ফুটবলারদের ডাকে সাড়া দিয়ে গত দু’টি ম্যাচে যুবভারতী ভরিয়ে দিয়েছিলেন সমর্থকেরা। মোহনবাগান-মুম্বই এবং মোহনবাগান-ওড়িশা ম্যাচে সমর্থক হয়েছিল ৬০ হাজারের বেশি। কিন্তু ফাইনালে অত সমর্থক না-ও হতে পারে।
এর প্রধান কারণ, ফাইনালের আয়োজক আইএসএল কর্তৃপক্ষ। আগের দু’টি ম্যাচে আয়োজক ছিল মোহনবাগান। তারা সমর্থকদের জন্য টিকিট ছেড়েছিল বেশি। কিন্তু ফাইনালে তা হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, সমর্থকদের জন্য অনলাইনে ৪০ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। ২০-২২ হাজার টিকিট পুলিশ, দুই ক্লাব এবং স্পনসরদের কাছে গিয়েছে।
টিকিট নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে কাড়াকাড়ি ইতিমধ্যেই লক্ষ করা গিয়েছে। শুক্রবারও যুবভারতী এবং মোহনবাগান তাঁবুতে টিকিট প্রত্যাশীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। মন খারাপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে সকলকেই। কারণ সব টিকিটই ছাড়া হয়েছে অনলাইনে।
এই সুযোগে টিকিটের কালোবাজারিও বেড়েছে বিস্তর। সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে ১০০ টাকার টিকিট ৫০০, ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা কিনতেও মানুষের সমস্যা নেই। কিন্তু চাহিদার তুলনায় জোগান অপ্রতুল। এখন দেখার, শনিবারের বিকেল আদৌ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে কি না।