আইএসএলের ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়ক শুভাশিস (বাঁ দিকে) এবং রাহুল। ছবি: পিটিআই।
ডুরান্ড কাপ জিতে মরসুম শুরু। পকেটে চলে এসেছে আইএসএলের লিগ-শিল্ড। এ বার ফাইনাল জিতে ত্রিমুকুট নিয়ে মরসুম শেষ করতে চান মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। সেই স্বপ্নে কাঁটা বিপক্ষের দুই খেলোয়াড়, যাঁরা অতীতে কলকাতায় খেলে গিয়েছেন। এক জন মুম্বইয়ের অধিনায়ক রাহুল ভেকে, যিনি অতীতে খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। আর এক জন জয়েশ রানে, যিনি মোহনবাগান জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ত্রিমুকুটের প্রসঙ্গ উঠতেই শুভাশিস বললেন, “প্রত্যেকটা ট্রফির জন্য সেরাটা দেওয়াই আমার কাজ। দল প্রচুর পরিশ্রম করেছে গত কয়েকটা মাসে। প্রত্যেকে ভাল দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ। এই ট্রফিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনটে ট্রফি জিততে পারলে দলের এবং সমর্থকদের স্বপ্ন পূরণ হবে।”
পাল্টা শুনিয়ে রাখলেন ভেকেও। অতীতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বিতে গোল করেছেন। তিনি বললেন, “ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার কথা এখনও ভুলে যাইনি। এখন মুম্বইয়ে খেলি। আমার কাছে এই ম্যাচ আলাদা অনুপ্রেরণার। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় হিসাবে জানি, যুবভারতীতে নামার একটা আলাদা মজা রয়েছে। আমি তৈরি।”
অনেকটা একই কথা শোনা গেল জয়েশের মুখেও। বললেন, “অতীতে মোহনবাগানের জার্সি পরতে পেরে সম্মানিত। এখন মুম্বইয়ের খেলোয়াড় হিসাবে ট্রফি জিততে চাই। সেটা ছাড়া কিছু ভাবছি না।”
হাজির ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোসও। যুবভারতীর পাশে কাদাপাড়ার খুদে ছেলেদের সঙ্গে বাইপাসের ধারে ঘেরা মাঠে ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শীর্ষস্তরে ফুটবল খেলে আসা পেত্রাতোস কী ভাবে মানুষের সঙ্গে এ ভাবে মিশে যেতে পারেন?
অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের উত্তর, “ভারতে সময়টা খুবই উপভোগ করছি। কলকাতা শহর হিসাবে দারুণ। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে নেমে পড়া আমার কাছে খুব স্বাভাবিক। মন থেকে আসে ব্যাপারটা। আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের ফুটবল খেলার ব্যাপারে আরও অনুপ্রাণিত করতে চাই, যাতে ওরাও কোনও দিন স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলতে পারে।”
কোচ বদল এ বার দুই দলেই হয়েছে। মোহনবাগানে যেমন জুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে এসেছেন আন্তোনিয়ো হাবাস, তেমনই মুম্বইয়ে ডেস বাকিংহামের বদলে কোচ হয়েছেন পিটার ক্রাতকি।
ফাইনালের আগে কোচ বদল নিয়ে দিমিত্রি বললেন, “দুটো দলই দু’রকম। প্রত্যেকের নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। তবে হাবাস আমাকে অনেক বেশি স্বাধীনতা দিয়েছেন। খোলা মনে খেলার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই জন্যই প্রত্যেক ম্যাচে নিজের সেরাটা দিই।”
একই প্রসঙ্গে ভেকে বললেন, “আমরা সবাই ওঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ছিলাম। মরসুমের মাঝপথে থাকাকালীন কোচ বদল সমস্যার। আমরা জানতামও না আগের কোচ চলে যাবেন। তবে নতুন কোচ এসে বিরাট কিছু বদলাননি। পরিকল্পনা প্রায় একই থাকে। দু’জনের দর্শনে মিল রয়েছে।”