ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পেলের সম্পত্তির আসল মূল্য প্রায় ৭৬০ কোটি টাকা। — ফাইল চিত্র
মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস। এত দিন পর হঠাৎ পেলেকে নিয়ে বিস্ফোরক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। নিজের ইচ্ছাপত্রে পেলে দাবি করেছেন, তাঁর এক অবৈধ সন্তান রয়েছে। ১৯৮০ সালে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পেলের। তারই ফলশ্রুতি হিসাবে এক মেয়ের জন্ম হয়।পেলের এই খবর জানতে পেরে গোটা পরিবার চমকে গিয়েছে।
ইচ্ছাপত্রে পেলে চেয়েছেন, ওই মহিলার ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। যদি ফলাফল পজিটিভ হয়, তা হলে পেলের সম্পত্তির বিপুল অংশ পাবেন ওই মহিলা। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে পেলে মারা যাওয়ার সময় তাঁর মোট সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ছিল ১২১ কোটি টাকারও বেশি।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পেলের সম্পত্তির আসল মূল্য প্রায় ৭৬০ কোটি টাকা। তারাই জানিয়েছে, পেলের সেই সৎমেয়ে সম্পত্তির ভাগ চেয়ে দাবি জানিয়েছেন। সফল হলে সম্পত্তির একটা বড় অংশ পেতে পারেন তিনি। এই মুহূর্তে পেলের সম্পত্তির দাবি করেছেন দুই নতুন মহিলা।
তিন বার বিয়ে করেছিলেন পেলে। তাঁর স্বীকৃত সাত সন্তান এবং ছয় নাতি-নাতনি রয়েছে। নতুন এই সন্তান হতে পারে অষ্টম। তাঁর নাম মারিয়ো দো সোকোরো আজেভেদো বলে ব্রাজিলীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সময় পেলে মার্সিয়া আয়োকির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন। তাঁদের সন্তানের নাম জেমিনা লেমোস ম্যাকমাহোন।
মারিয়ার দাবি শুনে পেলের সন্তানদের তরফে আইনজীবী অগাস্তো মিগলিয়োলি বলেছেন, “পেলের সন্তান হিসাবে যদি ওই মহিলার কিছু প্রাপ্য থাকে, তা হলে সেই অংশ সংরক্ষিত রাখা হবে।”
গত বছর সাও পাওলোর একটি আদালতে সরকারি ভাবে পেলের সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেন মারিয়া। আদালতের তরফে বিষয়টি পেলেকে জানিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার কথা বলা হয়। কিন্তু পেলের শারীরিক অবনতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে পেলে জানিয়েছিলেন, মারিয়া নামে এক মহিলা রয়েছেন, যিনি তাঁর সন্তান হতে পারেন। যদি ডিএনএ পরীক্ষায় সব ফল ঠিক থাকে, তা হলে তিনি যেন সম্পত্তির কিছুটা অংশ পান।
সূত্রের খবর, পেলে নিজেই চেয়েছিলেন তাঁর সন্তানের খবর বাকি পরিবার জানুক। তাঁর সব সম্পত্তি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে কে কত অর্থ পাচ্ছেন তা প্রকাশ্যে আনা হবে না, যদি না পেলের পরিবার সেটা চায়।