— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মেয়েদের বিশ্বকাপে আবার বিপর্যয়। আয়োজক নিউ জ়িল্যান্ড দল যে হোটেলে রয়েছে সেখানে ধরে গেল আগুন। কিছু ক্ষণের জন্যে গোটা দলকে হোটেলের বাইরে বের করে আনা হল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর হোটেলে ঢুকতে পেরেছেন ফুটবলাররা। কেউ কোনও চোট পাননি। কোনও হতাহতের খবরও নেই।
শনিবার দুপুরের দিকে আচমকাই অকল্যান্ডের পুলম্যান হোটেলে আগুন ধরে যায়। সেই হোটেলেই রয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড দল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বের করে আনা হয়। বাকি হোটেলও খালি করা হয়। কী থেকে আগুন লেগেছে তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে স্থানীয় দমকল সূত্রে খবর, হোটেলের উপরের দিকের কয়েকটি তলায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই আগুন বুজিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক জন হোটেলকর্মী শ্বাসের সঙ্গে অনেকটা ধোঁয়া গিলে ফেলেছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে গুরুতর আহত নেই।
হোটেলের এক কর্মী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরেই হোটেলের কয়েকটি তলায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। তাতে সামান্য শ্বাসকষ্ট হয় কিছু হোটেলকর্মীর। তবে ফুটবলারদের মধ্যে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। বিপদঘণ্টি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নীচে নামিয়ে আনা হয়। প্রত্যেকেই নিরাপদে রয়েছেন।
দু’দিন আগে বিশ্বকাপের উদ্বোধনের দিনেই এক বন্দুকবাজ হামলা করেছিল অকল্যান্ডে। ইডেন পার্কে প্রথম ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বনাম নরওয়ে ম্যাচের আগে সেই ঘটনা ঘটে। সে বার নরওয়ে দল যে হোটেলে ছিল, তার ৩০০-৪০০ মিটার দূরে হামলা করে ওই বন্দুকবাজ। স্থানীয় একটি বন্দরের পর্যটনকেন্দ্রের সামনে ওই বন্দুকবাজ এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। চার জন গুরুতর আহত হন। তার মধ্যে এক পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। হামলা শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে ওই আততায়ীকে ঘিরে ফেলে। কিন্তু মৃত অবস্থায় তাঁকে একটি এলিভেটরে পাওয়া যায়।
নরওয়ের অধিনায়ক মারেন মেলদে জানিয়েছিলেন, গোটা ঘটনায় দল একটু আতঙ্কিত হয়ে গেলেও এখন শান্ত। নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনও সংশয় নেই। বলেছেন, “আমাদের সর্বদা নিরাপদে রাখা হয়েছে। হোটেলে ফিফার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভাল। আমাদের নিজেদেরও নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছেন। প্রত্যেকেই শান্তিতে আছে। ম্যাচের জন্যে স্বাভাবিক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।”