Prasun Banerjee

Prasun Banerjee: মোহনবাগানের সভাপতি করা হোক সুব্রত ভট্টাচার্যকে, দাবি প্রসূনের

প্রসূনের ইচ্ছা সুব্রত ভট্টাচার্যকে মোহনবাগানের সভাপতি পদে দেখার। প্রসূনের মতে সুব্রত খুব ভাল ভাবে ক্লাব চালাতে পারবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ২৩:০৪
Share:

—ফাইল চিত্র

মোহনবাগানের সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা সুব্রত ভট্টাচার্যকে ওই পদে দেখার। দীর্ঘ দিন মোহনবাগানের হয়ে খেলা প্রসূনের মতে সুব্রত খুব ভাল ভাবে ক্লাব চালাতে পারবেন।

বুধবার প্রসূন বললেন, “আমি চোখ বুজে বলছি সুব্রত ভট্টাচার্যকে সভাপতি করা হোক। ছোটবেলা থেকে খেলেছি। ও মোহনবাগান অন্ত প্রাণ। ভাল মানুষ। খেলা পাগল। কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। ওকে সভাপতি করলে আরও ১০ হাজার লোক খেলা দেখতে আসবে।”

Advertisement

সেই সঙ্গে মোহনবাগান নামের সামনে থেকে এটিকে সরানোর কথাও বলেছেন প্রাক্তন ফুটবলার। তিনি বললেন, “মোহনবাগানের সামনে এটিকে লেখা চলবে না। অন্য কিছু লিখুক। এটিকে কেন? তবে স্পনসর লাগবেই। আমাদের সময় হাতে পাঁচ টাকা দিলে আনন্দ করতে করতে খেলতে নেমে পড়তাম। এখন সেটা সম্ভব নয়।”

অক্টোবর মাসে ১৫ দিন কলকাতা ময়দানে কোনও ক্লাবের কাজ হয় না। ওই সময় সেনার হাতে চলে যায় কলকাতা ময়দান। ১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকে ময়দান। প্রতি বছর এমন যাতে না করা হয় সেই বিষয়ে প্রসূন আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে। তার উত্তরে রাজনাথ একটি চিঠি দিয়ে লেখেন, ‘স্বাধীনতার আগে থেকে এমনটা হয়ে আসছে। ময়দানের সবুজ বজায় রাখার জন্য এটা প্রয়োজনীয়। মাত্র ১৫ দিন খেলা বন্ধ থাকে। এটা কোনও ভাবেই খেলার বিষয়ে আমরা অনুৎসাহী, এটা প্রমাণ করে না।’

Advertisement

পেলে যে সময় ভারতে কসমস দলের খেলতে এসেছিলেন, সেই সময়ের একটি ঘটনার কথাও ভাগ করে নেন প্রসূন। তিনি বললেন, “খেলার পরে আমি একটা সই চাইতে গিয়েছিলাম পেলের ঘরে। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন পাঁচ ডলার আছে? আমি জানালাম আমার কাছে কোনও টাকা নেই। উনি একটা ছাপানো সইয়ের কাগজ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। আমি নিতে রাজি হইনি। আমার ডায়রি দিয়েছিলাম। তাতে পেলে লিখে দেন, ‘ফুটবল খেলো, দুনিয়া দেখো, এক জন ভাল মানুষ হয়ে ওঠো, তোমার জাতীয় পতাকা নিয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে এস।”

প্রসূনের আফসোস সন্তোষ ট্রফির খেলা ভাল ভাবে দেখতে পারেননি। রঞ্জি ট্রফি টিভিতে দেখানো হলেও সন্তোষ ট্রফি দেখানো হয়নি। নেটমাধ্যমে দেখতে হয়েছে খেলা। প্রসূন বললেন, “আমাদের ছেলেরা সন্তোষ ট্রফি খেলছে। ওদের সে ভাবে সাহায্য করা হয় না। আমরা খেলাটা দেখতে চাইছিলাম। কিন্তু এআইএফএফ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ওদের ভাবা উচিত ছিল কী ভাবে খেলাটা সম্প্রচার করা যায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement