মোহনবাগান দল। — ফাইল চিত্র।
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে আগেই উঠে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এফসি গোয়াকে মোহনবাগান হারিয়ে দিলেই ১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বি ম্যাচ হবে । আগের ম্যাচে মুম্বই সিটিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুন। কিন্তু তাদের ভাবাচ্ছে ঘন ঘন ম্যাচ। কয়েক জনকে বিশ্রাম দিতে তাই বৃহস্পতিবারের ম্যাচে দলে বদল হতে পারে। কোচ জুয়ান ফেরান্দো আবার এই ম্যাচকে দেখছেন এএফসি কাপের প্রস্তুতি হিসাবেই। তিনি ফাইনালে যাওয়া নিয়ে অতটা ভাবিত নন।
আগের ম্যাচে মুম্বইকে হারালেও মোহনবাগানের কিছু ভুলত্রুটি ধরা পড়েছে। রক্ষণে যেমন গলদ রয়েছে, তেমনই মিডফিল্ড এবং ফরোয়ার্ড লাইনের তালমিলের ক্ষেত্রেও কখনও সখনও সমস্যা হচ্ছে। ফলে সেমিফাইনালে নামার আগে সেই ভুলত্রুটি শোধরাতে আগের ম্যাচটি কাটাছেঁড়া করছেন ভিডিয়ো অ্যানালিস্টরা। কোচ ফেরান্দোও নতুন করে কৌশল সাজাতে ব্যস্ত। দলে দু’-একটি পরিবর্তন হতে পারে।
বুধবার ফেরান্দো বলেছেন, “গত বারের গোয়ার সঙ্গে এ বারের গোয়ার অনেক পার্থক্য। এ বার ওদের দলে কার্ল ম্যাকহিউ, উদান্তা সিংহ, নোয়া, বরিস সিংহের মতো ফুটবলার রয়েছে। ওদের গুরুত্ব দিতেই হবে। তবে আমরা এটাকেও এএফসির প্রস্তুতি ম্যাচ হিসাবে দেখছি। বিভিন্ন কারণে প্রাক মরসুম প্রস্তুতি ভাল করে হয়নি। মুম্বইকে হারালেও অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে। চোট-আঘাত বাঁচিয়ে ফাইনালে উঠতে চাই। তাই দলে কিছু বদল হতে পারে।”
মুম্বইকে হারিয়েছেন বলে গোয়াকেও হারাবেন এমনটা ভাবতে রাজি নন ফেরান্দো। তাঁরা আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু আত্মতুষ্ট নন। গোয়ার প্রতিটি ম্যাচ দেখেছেন ফেরান্দো। সেই অনুযায়ী কৌশল তৈরি করছেন। তবে বাগান-কোচের বিশ্বাস, ঠিক মতো দল খেলতে পারলে জয় আসবেই।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিংস আবার রাখঢাক না করে মোহনবাগানকেই এই মুহূর্তে ভারতের সেরা দল বলে দিলেন। তাঁর হুঙ্কার, “আমরা যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি। ভারতের জাতীয় দলে সাত-আটজন আমাদের দলে। আমরা বিদেশিরাও নিজেদের সেরাটা দিতে তৈরি। মুম্বইকে হারিয়ে পাওয়া আত্মবিশ্বাস গোয়া ম্যাচেও বজায় রাখতে চাই। আইএসএলের আগে একটা ট্রফি ঘরে এলে মনোবল বাড়বে।”