মহড়া: অনুশীলনে কামিংস, দিমিত্রিরা। —নিজস্ব চিত্র।
অনিরুদ্ধ থাপার পরে সাহাল আব্দুল সামাদ। দুই মাঝমাঠের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে ছাড়াই শুক্রবার জামশেদপুর দ্বৈরথে নামবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের দাবি, সাহালের অল্প চোট রয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’-তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন অনিরুদ্ধ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়া-র সঙ্গে মোহনবাগানের পার্থক্য আট পয়েন্টের। ফলে সাহালকে নিয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটতে চাননি কোচ হোসে মলিনা। মাঝমাঠের দায়িত্বে আপুইয়ার সঙ্গে হয়তো দীপক টাংরিকে দেখা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে যুবভারতীতে অনুশীলন করে বাসে রওনা দেয় মোহনবাগান। হাল্কা অনুশীলনে মূলত শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি ওয়ান টাচ ফুটবলে জোর দিয়েছেন মলিনা। সেট পিসের উপরেও বিশেষ অনুশীলন করেন। দু’দলে ভাগ করে বল পায়ে প্রস্তুতি চলে। আশিক কুরুনিয়ন সাইডলাইনেই রিহ্যাব সারেন। সাহাল শারীরিক কসরতের পরে সাইডলাইনে চলে যান।
আইএসএলে প্রথম পর্বের ম্যাচে জামশেদপুরকে ৩-০ হারিয়েছিল মোহনবাগান। যুবভারতীতে সেই ম্যাচে ডাগ-আউটে ছিলেন না জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামিল। ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে সেই হারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া তিনি।
ঘরের মাঠে জামশেদপুর মোট আটটি ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে জিতেছে। মলিনাকে ভরসা দিচ্ছে জামশেদপুরের দুর্বল রক্ষণ। সেরা ছয়ে থাকা দলের মধ্যে তাঁরা সবচেয়ে বেশি গোল খেয়েছে (২৩)। মোহনবাগানের হাতে রয়েছে বিশ্বমানের আক্রমণ। জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস-দের পাশাপাশি গোল করছেন আলবের্তো রদ্রিগেস, শুভাশিস বসুর মতো রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররাও।
বুধবার জামশেদপুরকে সমীহ করে মলিনা বলেছিলেন, “জামশেদপুর কত গোল খেয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এবং চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে দু’ম্যাচে দশটি গোল ছাড়া বাকি ম্যাচগুলিতে তো তত বেশি গোল খায়নি। তাই ওদের অন্তত খারাপ দল বলা যায় না। কঠিন লড়াই হতে চলেছে।”
ময়দানের চেনা প্রবাদ- ডার্বি জয়ের পরের ম্যাচে জয়ী দল আটকে যায়। সেই প্রবাদই ভুল করার দায়িত্বে আজ নামছে মরিয়া মোহনবাগান।
শুক্রবার আইএসএলে: জামশেদপুর এফসি বনাম মোহনবাগান। সন্ধে ৭.৩০ থেকে। স্পোর্টস ১৮ নেটওয়ার্কে।