মোহনবাগানের অনুশীলনে দিমিত্রি পেত্রাতোস। — ফাইল চিত্র।
জামশেদপুরে ঘর সমস্যা মিটল না মোহনবাগানের। যতগুলি ঘর চাওয়া হয়েছিল মোহনবাগানের তরফে, তার প্রায় অর্ধেক মিলছে। ফলে কলকাতাতেই চার জন ফুটবলারকে রেখে জামশেদপুরের উদ্দেশে বুধবার রওনা দিল মোহনবাগান। আগামী ২৩ অগস্ট, শুক্রবার তারা ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, জামশেদপুরে মোহনবাগানের তরফে ৩২টি ঘর চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০টির বেশি ঘর পাওয়া যাচ্ছে না। দু’টি আলাদা হোটেলেও ফুটবলারদের রাখতে রাজি নয় মোহনবাগান। ফলে জেমি ম্যাকলারেন, আশিক কুরুনিয়ান, ধীরজ সিংহ এবং গ্লেন মার্টিন্সকে রেখেই জামশেদপুরের উদ্দেশে সড়কপথে রওনা দিয়েছে দল।
বুধবার সকালে যুবভারতী অনুশীলন মাঠে প্রস্তুতি সারে মোহনবাগান। তবে এই অনুশীলন মজার ছলেই রেখেছিলেন কোচ হোসে মোলিনা। দু’টি দলে ভাগ করা হয় ফুটবলারদের। দু’জন করে ফুটবলার একই সঙ্গে মজায় মাতলেন। জেসন কামিংসের সঙ্গে গ্রেগ স্টুয়ার্ট, লিস্টন কোলাসোর সঙ্গে আপুইয়া, আবার কখনও দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গে টম অলড্রেড জুটি বেঁধে খেললেন।
ক্রসবার লক্ষ্য করে মারা, কর্নার থেকে সরাসরি গোল করা, দুই প্রান্ত থেকে বল ভাসানো এবং নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তা রিসিভ করার মতো কাজ দেওয়া হয়েছিল ফুটবলারদের। সাপোর্ট স্টাফেরাই সেই প্রস্তুতির দায়িত্বে ছিলেন। মোলিনার মতোই ফুটবলারদের পারফরম্যান্স খাতায় তুলে রাখলেন তাঁরা। জয়ী দলের নাম ঘোষণা করেন মোলিনা। হেরে যাওয়া দলকে ‘শাস্তি’ পেতে হয়। হেরো দলকে ‘পুশ আপ’ দিতে হল।