মায়াঙ্ক যাদব। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলে ১৫৬ কিলোমিটার বেগে বল করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। গতির কারণে রাতারাতি শিরোনামে চলে এসেছিলেন লখনউয়ের ক্রিকেটার মায়াঙ্ক যাদব। সেই ক্রিকেটারকে আইপিএলের পরে আর দেখাই যাচ্ছে না। কোথায় উধাও হয়ে গেলেন মায়াঙ্ক। উত্তর দিয়েছেন দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা।
আইপিএলে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন মায়াঙ্ক। বল করেছিলেন ১২.১ ওভার। তবে একটানা ১৫০ কিলোমিটারের উপর বল করে যাওয়াই তাঁকে শিরোনামে এনেছিল। সেই মায়াঙ্ক এখন রয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সাড়ে তিন মাস কোনও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলেননি। দলীপ ট্রফির কোনও দলেও সুযোগ পাননি। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ থেকেও নাম তুলে নিয়েছিলেন।
দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা বলেছেন, “গত তিন মাস ধরে প্রতি এক সপ্তাহ অন্তর এ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) কাটাচ্ছে। ডিপিএল থেকে নাম তুলে নিয়েছে। আমরা জানি না কবে ওকে পাব। আশা করা যায় প্রথম রঞ্জি ম্যাচের আগে ওকে পাওয়া যাবে।”
মায়াঙ্কের মেন্টর এবং দিল্লির অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রাক্তন কোচ নরেন্দ্র নেগি বলেছেন, “এনসিএ-র ফিজিয়োরা ওকে একটি রুটিন করে দিয়েছে। ওর শরীরের দেখাশোনা করছেন। শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পা এবং পিঠের পেশি আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে। মায়াঙ্ককে ওঁরা বেশ যত্ন নিয়ে দেখছেন।”
জানা গিয়েছে, মায়াঙ্কের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু শারীরিক শক্তি বাড়াতে হবে। মায়াঙ্ক যে গতিতে বল করেন সেই ধকল তাঁর শরীর নিতে পারে না। যে হেতু তিনি বিশেষ প্রতিভা, তাই মায়াঙ্ককে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বোর্ড।
প্রতি দিন তিনি ১২-১৫ ওভার বল করছেন। সামনে ছোট ছোট লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তাই এক সপ্তাহ অন্তর এনসিএ-তে কাটাচ্ছেন। ভারতের প্রাক্তন বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেছেন, “ও তৈরি না হলে খেলানোর দরকার নেই, এ কথা মানি না। এটাই তো ওর বল করার বয়স। যত বেশি বল করবে তত নিয়ন্ত্রণ তৈরি হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশি করে খেলা উচিত।”