মোহনবাগানের দুই গোলদাতা পেত্রাতোস এবং লিস্টন। ছবি: এক্স।
কলকাতা ডার্বিতে অপরাজিতই থাকলেন তিনি। ম্যাচের পর স্বীকারও করে নিলেন যে ডার্বি এবং তাঁর নাম সমার্থক। তবু মোহনবাগানের খেলায় খুশি হতে পারলেন না আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। তাঁর মতে, দ্বিতীয়ার্ধে দলের কাছে যে পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করা হয়েছিল তা দিতে পারেননি তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধের দলের খেলায় আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি।
ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে হাবাস বলেছেন, “আমরা প্রথমার্ধে ৩-০ জিতছিলাম। তাই জন্যেই হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস চলে এসেছিল। আমাদের উচিত ছিল একই ছন্দ ধরে রেখে খেলা। প্রতিপক্ষকে একই রকম চাপে রাখা। সেটা আমরা করিনি। আত্মতুষ্টিতে ভুগেছি। তার ফল ভুগতে হয়েছে একটি গোল খেয়ে।”
তিনি আরও বলেছেন, “প্রথমার্ধে আমরা আরও গোল করতে পারতাম। দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ দলের খেলায় যে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না। এটা নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের। উন্নতি করতে। দ্বিতীয়ার্ধে দল একই রকম দাপট দেখাবে ভেবেছিলাম। সেটা পারিনি। মানছি গোটা ম্যাচ একই ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কিন্তু গোলের ব্যাপারে আরও নিখুঁত হতে হবে আমাদের।”
হাবাস স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এক নম্বরে চলে এলেও তাঁর মাথায় লিগ-শিল্ড নেই। কারণ, এখনও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মুম্বইয়ের সঙ্গে খেলা বাকি। হাবাস বলেছেন, “দু’দিন পরেই কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নামব। ডার্বি জয়ের উৎসবের সময় কোথায়? আমাদের বর্তমানে বাঁচতে হবে। তাই এখন ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছি না। আপাতত আমার ফোকাসে কেরল ম্যাচ। তার পর মুম্বই রয়েছে। ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”
দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকুর মতো ফরোয়ার্ড তো রয়েছেনই, গোল করছেন মনবীর সিংহ বা লিস্টন কোলাসোরাও। কী ভাবে এত আক্রমণাত্মক খেলছেন? হাবাসের ব্যাখ্যা, “আগে যখন এ দেশে কোচিং করিয়েছি তখন আমার হাতে আক্রমণের ভাল ফুটবলার ছিল না। তাই রক্ষণে জোর দিয়েছিলাম। এখন গোল করার মতো যথেষ্ট ফুটবলার রয়েছে। তাই আক্রমণ ছাড়া আর কিছু ভাবি না।”