গোলের পর বুমোসের উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটার।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল মোহনবাগান। বুধবার বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন হুগো বুমোস।
এশিয়ান গেমস খেলতে যাওয়ায় বুধবার যুবভারতীর ম্যাচে ছিলেন না সুনীল ছেত্রী। তার উপর ম্যাচের ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ( লাল কার্ড) বেঙ্গালুরুর সুরেশ সিংহ। বক্সের মাথায় দিমিত্রি পেত্রাতোসকে ফাউল করায় সংযুক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখেন নওরেম রোশন। শেষ ৫ মিনিট ৯ জনে খেলতে হয় বেঙ্গালুরুকে। তাতে অবশ্য মোহনবাগানের কৃতিত্বকে খাটো করা যাবে না। কারণ বুমোসের গোলের সময় মাঠে প্রতিপক্ষের ১১জন ফুটবলারই ছিলেন। তবে গোলটি হল বেঙ্গালুরুর ডিফেন্সের ভুলে। তাদের রক্ষণ ভাগের এক ফুটবলার বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা জেসন কামিন্সের পায়ে জমা দেন। অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার বক্সের মধ্যে বল সাজিয়ে দেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বুমোসকে। তিনি গোল করতে ভুল করেননি।
বেঙ্গালুরু ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। কিন্তু জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। যা পরের ম্যাচগুলিতে চিন্তায় রাখতে পারে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। বুধবার ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল মোহনবাগানের। যদিও বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় তাদের আক্রমণ ধার হারিয়েছে ১৬ গজের বক্সে। কয়েক বার দলের পতন রোধ করেছেন বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক অভিজ্ঞ গুরপ্রীত সিংহ। কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেন পেত্রাতোসও।
অধিকাংশ সময় বলের দখল রেখেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মোহনবাগান। বুধবার মোহনবাগানের মাঝমাঠকে কিছুটা অগোছাল দেখিয়েছে। তাই আক্রমণ গড়ে তোলার জন্য দুই প্রান্তকে বেশি ব্যবহার করেছে মোহনবাগান। বেশ কয়েক বার প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারছিলেন না পেত্রোতোসেরা। মাঝে মাঝে প্রতি-আক্রমণ থেকে ওঠার চেষ্টা করছিল বেঙ্গালুরু।
১০ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও বেঙ্গালুরুর ফুটবলারেরা সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ বক্সে লোকের অভাবে গোল করতে পারেননি তাঁরা। বাগানের রক্ষণের সামনে সুযোগ পাচ্ছিলেন না তাঁরা। মোহনবাগানও অবশ্য ব্যবধান বৃদ্ধি করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলেই শেষ হয় খেলা। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকল জুয়ান ফেরান্দোর দল।