লড়াই: মাঠে ফেরার প্রস্তুতিতে মগ্ন সাহাল। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে সৌদি আরবের আভায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে চোট পাওয়ার পর থেকেই মাঠের বাইরে রয়েছেন সাহাল আব্দুল সামাদ। সেমিফাইনালের আগে তাঁকে সুস্থ করে তোলার মরিয়া চেষ্টা চলছে।
ভারতীয় দলের অনুশীলনে পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছিলেন সাহাল। গুয়াহাটিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচের আগেই বাদ পড়েন তিনি। তার পর থেকে কলকাতাতেই রিহ্যাব করছেন। কিন্তু মোহনবাগানের শেষ তিনটি ম্যাচেই দলে জায়গা পাননি তিনি। প্রশ্ন উঠছে আগামী ২৩ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে কি খেলতে পারবেন সাহাল? সবুজ-মেরুন শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সাহালকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে সাহালকে খেলানোর ঝুঁকি নিতে চান না মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ। কারণ, তাঁর উদ্বেগ অনেকটাই দূর হয়েছে অনিরুদ্ধ থাপা ছন্দে ফেরায়। হাবাসের অস্বস্তি বেড়েছে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্রেন্ডন হামিল লাল কার্ড দেখায়। ফুটবলারদের ছুটি দিলেও স্পেনীয় কোচ নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সেমিফাইনালের রণকৌশল তৈরি করতে। এই কারণেই লিগ-শিল্ড জয়ের উদ্যাপনে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। এমনকি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো প্রথমবার লিগ-শিল্ড জয়ের জন্য মোহনবাগানকে সমাজমাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন শুনেও বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন হাবাস। ফুটবলারদের তিনি বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন, উচ্ছ্বাসে ভেসে না গিয়ে সেমিফাইনালে মনঃসংযোগ করতে। দিমিত্রি, কামিংস-রা অবশ্য লিগ-শিল্ড জয়ের রাতেই জানিয়েছিলেন, আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ত্রিমুকুট জেতাই তাঁদের পাখির চোখ।
শুক্রবার থেকে শেষ চারের প্রস্তুতি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে হাবাসের। সে দিনই চূড়ান্ত হয়ে যাবে শেষ চারে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ কারা। ওড়িশা এফসি বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচে জয়ী দল মুখোমুখি হবে মনবীর সিংহদের। চলতি আইএসএলে ওড়িশার সঙ্গে দুই পর্বেই ড্র করেছিল মোহনবাগান (২-২, ০-০)। কেরলের কাছে ঘরের মাঠে ০-১ হেরেছিলেন দিমিত্রি-রা। কোচিতে দ্বিতীয় পর্বে তাঁরা ৪-৩ জিতেছিলেন। সবুজ-মেরুনের সমর্থকদের অধিকাংশই শেষ চারে প্রতিপক্ষ হিসেবে কেরলকে চান। কিন্তু মোহনবাগানের কোচ থেকে ফুটবলার কোনও প্রতিপক্ষকেই হাল্কা ভাবে নিতে রাজি নন। তাঁদের মতে, শেষ চারের দ্বৈরথ কখনও সহজ হয় না।