আই লিগ ট্রফি নিয়ে মহমেডানের খেলোয়াড়েরা। ছবি: এআইএফএফ।
দল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আগেই। আরও বেশি সমর্থক যাতে খেলা দেখতে পারেন, তার জন্য দিল্লি এফসি-র বিরুদ্ধে আই লিগের শেষ ম্যাচ যুবভারতী স্টেডিয়ামে করার আয়োজন করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাজার তিরিশেক সমর্থকের মাঝে জিতে আই লিগ ট্রফি হাতে তোলা হল না মহমেডানের। দিল্লি এফসি-র কাছে ঘরের মাঠে ১-৩ গোলে হেরে গেলেন আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা। তবে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়া আগের ম্যাচেই হয়ে গিয়েছে।
খেলার শুরুতেই এগিয়ে যায় দিল্লি। সাত মিনিটের মাথে পাপে গাসামার কর্নার থেকে গোল করেন আলিশের খোলমুরোদভ। গোটা স্টেডিয়ামে তখন চুপ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোর কাটতে বেশ সময় লাগে মহমেডানের। এভজেনি কোজলভের শট প্রতিহত হওয়ার পর সামনে থেকে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন এদি হার্নান্দেস। কিন্তু দিল্লি আবার এগিয়ে যায়। ১৮ বছরের গোয়ামসার গোয়ারি আই লিগে নিজের প্রথম গোল করেন।
মহমেডানের পুরো দল অবশ্য এ দিন খেলেনি। আগের ম্যাচের থেকে সাত ফুটবলার পরিবর্তন করেছিলেন চের্নিশভ। কিন্তু আগ্রাসন বা জেতার খিদে, সব ব্যাপারেই এগিয়েছিল দিল্লি। চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ার ফলে মহমেডানের খেলা আত্মতুষ্টিও দেখা যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ করলেও গোল করার মতো যথেষ্ট খিদে দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। উল্টে অতিরিক্ত সময়ে ভূপেন্দ্র সিংহের পাস থেকে ৩-০ করে দিল্লির সের্জিয়ো বারবোজ়া। তবে লজ্জা বাঁচান মিরজালল কাসিমভ। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে দলের একমাত্র গোল করেন তিনি।
ম্যাচ না জিতলেও মহমেডানের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতোই। সমর্থকেরা ম্যাচের পর চিৎকার করতে থাকেন। মাঠেই খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে।